উৎসর্গ- ডাক্তার দেবাশিস
_____________________
_____________________
তোমার
ভাষাটি সহজে বুঝিবে এহেন সাধ্য নাহি কারুর
তুমি
রসরাজ উদিলে বঙ্গে সহসা, বঙ্গভাষার শশী থারুর!
আমরা
যতেক জ্ঞানগুণহীন তোমার প্রকাশে হই ঋণী,
দুরূহ
শব্দে তুমি অভিধান, তামস আঁধারে দিনমণি!
তব
জ্ঞান প্রেম চতুরতা নিধি দিনে দিনে বাড়ে শশীকলা,
আমি
মূঢ়মতি চঞ্চল অতি, হেরি তাহে খাই কান-মলা!
অরূপেরে
দেহ জ্যেষ্ঠ বিনয়, অপ্রকাশেরে কত স্নেহ,
আমি
অভাজন রহিলাম দূরে আমি কি গো নহি কেহ?
জানি
জানি আমি বৈষ্ণব নহি, সদা দূরাচারে আছি লিপ্ত,
তুমি
হও প্রভূ ক্ষমার পাথার, হলে আমা পরে শুধু ক্ষিপ্ত?
ওহে
দয়াবান, গুণের দরিয়া, অধমেরে দয়া করো হে,
আমি
নাহি জানি স্তুতি তোমার, ডুবিনু ভবের মোহে হে!
আমারে শেখাও ভাষার মাধুরী, সদা
শুদ্ধ বানান- প্রভৃতি
মূর্খ জানিয়া ঠেলিও না পায়,
তুমি বিনা মম নাহি গতি!
হে রসের সাগর,
প্রেমিকপ্রবর, কেষ্টনিষ্ঠ কঠোর বৈদ্য
ভবের কুষ্ঠ ধরিয়াছে গায়,
ধরি পায়, পার কর হে অদ্য!
ক্ষীন অন্তর, হীন চরিত্র,
দীন স্বভাবের আমি চির পাপিষ্ঠ
(খর) বৈতরণী তরিবার গরু
তুমি হে, তুমি মম গুরু, প্রাণের ইষ্ট!
এমন দয়াল গুরুর নামে
জয়ধ্বনি দাও,
দুই বাহু তুলিয়া উচ্চে,
আনন্দে লাফাও! (হে)!
দেবের আশিস মাথায় তুলে ধরণী
কাঁপাও! (হে)!
হরিবোল, হরিবোল, হরিবোল,
বোল হরি, হরিবোল... ইত্যাদি!
ক্ষমাপ্রার্থনাঃ
[আপনারে রাখি পিছে, তুচ্ছেরে দাও বাড়ায়ে,
এও যে তোমার লীলা- ভবমাঝে দাঁড়ায়ে-
জানি প্রভূ এ অকিঞ্চনে, তব দয়া আছে কিছু,
তোমা রাখি শিরোপরে, আমি রহিলাম নীচু,
তোমার আশিস রাখো জীবনেতে মম,
যত অপরাধ করি- তুমি অকাতরে ক্ষম!]
এও যে তোমার লীলা- ভবমাঝে দাঁড়ায়ে-
জানি প্রভূ এ অকিঞ্চনে, তব দয়া আছে কিছু,
তোমা রাখি শিরোপরে, আমি রহিলাম নীচু,
তোমার আশিস রাখো জীবনেতে মম,
যত অপরাধ করি- তুমি অকাতরে ক্ষম!]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন