বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০

বন্যা আসুক


বন্যা আসুক দু’কূল ছেপে- উঠান জুড়ে বন্যা নাচুক
তুলসীতলার ঠাকুর আমার, সাঁতার ছাড়াই না হয় ভাসুক-
উদোল গায়ে, স্রোতের বায়ে, ডাইনে বাঁয়ে হাত-পা ছেড়ে,
এবার বাইরে আসুক মায়-মদ্দ, বুড়ো-বুড়ি-কচি-ধেড়ে!
বাঁধ খুলে দে বধির নদীর, অধীর ক্ষুধায় না হয় গ্রাসুক,
ছন্নছাড়ার রাগ-রাগিনীর তালভাঙা লয়- মত্ত হাসুক!
প্রাণের কথা মুখ ফুটে বল, বোবা-কানা-বেকুব যত,
কতদিন আর থাকবি পড়ে, পথের পাশে ইটের মত?
শোর তুলেছে বোশেখ হাওয়া, পাল তুলে দে ডিঙ্গিগুলোর,
মরলে এবার মরব বটে, কাজ কি আছে ভাঙ্গা কুলোর?
আর কত দিন মরব বলেই- জীবনটারে আঁকরে নিয়ে,
দোর দিয়ে রই ঘরের কোনে, ঘরের ভেতর খিড়কি দিয়ে।
পথ খুলেছে পথের পানে, ঢেউ লেগেছে উতোল রোল-
যুদ্ধে যাবার সময় এখন- কুঁড়ের বাদশা- ‘হল্লা বোল!’
নাইরে কৃপাণ, ধর রে লাঠি তাতেই না হয় লড়ব রণ-
হার যদি হয় হারব তবে, লাঠি ধরেই মরণপণ!
হাড়-হাভাতের চোখ খুলেছে, ঘুম ছুটেছে ঘা খেয়ে,
পছিমকোনে মেঘ ছেয়েছে, দেখরে কানা দেখ চেয়ে!
জানি আমার সব কবিতার পাসনে তোরা পাঠোদ্ধার-
তবুও বলি -যুদ্ধে যাবি? নয়ত বেঁচে কি লাভ কার?


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...