আনাজে অদ্য আকাল পরেছে,
মাছে মাংসেতে হাহাকার
মুরগীর ডিম জোড়া বারো টাকা,
কপাল খুলেছে ডিম’অলার!
বিড়ি-টিরি বেচা বন্ধ করেছে
বিড়িখোর আছে বিপদে,
বিদেশীরা মদ গিলছে না আর,
হাত ধোবে তারা মদে!
স্যানিটাইজার কম পরে গেছে,
টইলেটে নাই টিস্যু-
নিউজ’অলার টিআরপি বাড়ে- এবেলা
এসবই ইস্যু!
আমোদে মজেছে ফিলিমের বালা,
ফেসবুকে করে যা তা লাইভ-
পলিটিক্স’অলা কাঠিবাজি করে-
এরে ওরে ডাকে ‘লর্ড ক্লাইভ’!
আপনি সাজিয়া শুদ্ধাবতার
পরেরে ডাকেন ‘ভণ্ড’
টুইট্যারে লেখে কত ট্যারা
কথা- বই হবে সাতখন্ড!
ঘরেতে আমার গিন্নি কহেন- ‘যাইতে
না দিব বাজারে,
প্রয়োজনে মোরা অনাহারে মরি
কোরোনায় যেন না মারে!’
অনেক ভাবিয়া রচিনু পদ্য, বেকারের
আর কিবা কাজ,
রামনবমীর ছুটির কৃপাতে-
শেয়ার বাজারও বন্ধ আজ!
নচেৎ, কপালে ছুটায়ে স্বেদ
অবিরাম ডুবিত সওদা তরী
লক্ষ্মী আমাকে আগেই
ত্যাজেছে, বুঝে গেছি জারিজুরি!
ভব সংসারে সকলেই চাহে-
পদতলে ফেলো গর্দান,
ভক্ত যে তাহা স্বভাবেই করে,
তাতেই তুষ্ট ভগবান!
মদীয় আকার অসুরপ্রকৃতি
বিচারে বিচারে অনাচারী
আমি কি বা তবে ডুবিয়া মরিব,
আসিবে না কোন কান্ডারী?
ডাক্তার বলে ‘আগে পথ্য গেলো
হে, মধুমেহ কিসে সারিবে?
নিজেই নিজেরে এমনি মারিলে
ভগবান কবে তারিবে?’
শরীরে আমার মধুস্রোতধারা
মরমে জ্বলিছে বিষ,
ডাক্তার তুমি বুঝিবে না
তাহা, নামটি যে ‘দেবাশিস’!
দেবের আশিসে- হয়েছ বৈদ্য, রোগী
সারো তুমি ওষুধে,
আমি তো হয়েছি বৈশ্য এখন- ক’টা
কড়ি আসে ক’সুদে-
এসব গণিয়া সংসার চলে বাকী
সবে আগে দিয়া ছাই,
লক্ষ্মীর সাথে বীণাপাণি যান
সরে, তিনিও বলেন ‘আমিও যাই’!
গরম এসেছে আগেকার মত, আমার
এসি নাই, ছোট রুম-
রাত্রে লুটাই তিনটার দিকে,
দশটায় ভাঙে ঘুম!
ভেতরে আগুন, বাইরে কোরোনা,
ভাবিয়া আকুল কি করি,
অভাবে পড়িয়া সত্ত্ব জাগিছে
মনে, চালে ডালে খাই খিচুড়ি!
যদিও বা সাথে ডিমটি ভেজেছি,
ওতে হানি কতখানি হবে?
সকলই করেছি কৃষ্ণার্পিত- প্রভূ
নিজগুনে বুঝে লবে!
এমন আকালে ভগবান যদি এতেও
রুষ্ট হন,
তবে দেবনিধি দেবতার শুধু,
অসুরের কেহ নন!
তাই আমার সাথে সে বিধাতা
মশাই’র চিরকাল আছে দ্বন্দ্ব,
বোষ্টমজনে তাই কহে আমি
অভাজন, স্বভাবে দারুণ মন্দ!
(গাত্রে আমার সর্বদা রহে
রসুন পেয়াঁজ গন্ধ!)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন