সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬

মিনতি হামারি

প্রেমধনে গরীয়সী এক আনায় গড়িমসি
কেন কর দিতে কিছু আষাঢ়ী আঁধারে!
নগদে আসলে সব শোধ দেব নিশ্চিত
এই বেলা এতটুকু দাও যদি ধারে;
তবে দেবী বেশ দয়া হত!

আগেও নিয়েছি আমি দিয়েছিও কত
আলুথালু ঘুমঘোরে সবই ভুলে গেলে!
সুখের নিদ্রা তবে না করি ব্যাহত
আমিও ঘুমিয়ে পড়ি দুটো হাই তুলে!

ভোর বেলা মনে হলে দিয়ো ফোনে কল,
রাতভর গেমস খেলে খুবই দুর্বল
আমি আরামে ঘুমাই ভোরে আলসের ধাড়ী!
তাড়াতাড়ি ফিরে এসো মিনতি হামারি
সুনো বিনোদিনী রাই.....

শ্যামচাঁদ মথুরায়, তার ফেসবুক নাই
তাই তুমি বোলো না গো খুঁজে দিতে তাকে।
সে হয়ত ঘুমিয়ে গেছে ঝিঁঝিঁদের ডাকে
কোন সন্ধ্যায়....

শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬

তোমার কৃতিত্ব

এই বিপুল পৃথিবীর তাবৎ সুখসম্ভারের চেয়ে,
সত্যি বলছি প্রিয়ে, তোমার দুঁফোটা অশ্রু দামী
যা কেবল আমার জন্য ঝরে, আমারই আঘাতে!

ঘর ভাঙবে জেনেও যে বাঁধে ঘর সে আমার ঘরণী,
নইলে আষাঢ়িয়া সাগরের উদোম সৈকতে বল-
কে বা আর চাইতে পারে ত্রিসন্ধ্যা তৃষিত জোয়ার!

ভাল তো বেসেছিল কত পাখি কত খাঁচাকে দাসত্বে,
কেউ তো আকাশ ছেড়ে এলোনা স্বেচ্ছায় তোমার মতন
কেউ তো প্রেম বিনা অন্য কোন শর্তে পড়েনি বাঁধা প্রেমের খাঁচায়!

তুমি তো তাকেও করেছ ব্রাত্য অনায়াসে!
অনায়াসে করেছ অর্পণ- তোমাকে আমার হাতে।
যে হাত নদীকে অভিষিক্ত করে তোমার কাজলে,
তোমার কপোল কাঁপে জলের ধারায়;

আমি তাতে স্নান করে মানুষের ছলে,
ক্রমে ক্রমে একদিন মানুষই হলাম!

রবিবার, ৫ জুন, ২০১৬

তুমি কি জানো?

ভালবাসা প্রয়োজন অথবা প্রয়োজনীয় বলে ভালবাসি,
অথবা বিয়োজন অসম্ভব বলে এখনো অনেক কাছাকাছি,
শার্টের বোতামে আঁচল আটকে, কলারে কাজল চুল,
আস্তিনে গুচ্ছ রাত, একান্ত অসংযত বলে হাতে হাত,
আঘাতে প্রত্যাঘাত ফেনিয়ে ওঠে দু'জোড়া ঠোঁট ও উপকূল,
দু-দুটি সমুদ্রের, অগাধ মন্থন, যা কিছু উদগত হয় বুকে,
নিতান্ত অসঙ্গত নয় বলে, প্রিয়তমাসু, তোমার গহীন চোখে
আমি যতটকু দেখি তার সবটুকু সাঁই সাঁই লিখে ফেলি!

আমি বৈশাখের মত উদগ্র বলে তুমি পৌষালী নদীর হাওয়া
আমার মৈষাল খরার দেশ জুড়ে ধীরে বও দখিণা মানিনী!
অক্লান্ত জলকেলি- আগন্তুক পাখির দলে দ্বিপ্রহরের ঝিলে
তোমার রঙিন বাসে, মরালগামিনী, আমি আমাকে খুলে ফেলি
তোমাকে দেখে কাঠফাটা তৃষ্ণায়, তেত্রিশকোটি দেবতা জানে!
কেমন সে দহনজ্বালা, কেমন সে ক্ষুধিত স্ফুলিঙ্গ ওড়ে সন্ত্রাসে,
আমার সমস্ত লুট হয়, আকাশে আকাশে ঘোরে কবিত্ব বৈভব,
নবাঙ্কুরিত ঘাসে কর্ণফুলীর চরে ঘুমায় সুর ভাটার টানে, বিহ্বল!
তুমি কি জানো আমার কর্মফল- কতটা মন্দ হলে এতটা জল
ডিঙোতে হয় তোমার আভাস এলে বাতাসের কানে? তুমি জানো?

বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১৬

অর্থহীন

সবই তো পেলাম এ জীবনে প্রিয়ে,
শুধু অর্থ পেলাম না জীবনের,
অর্থ পেলাম না পকেটের;
পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থবহ হতে অনেকের-
কাছে, আমার আছে অর্থহীনতা
ব্যাপক আকারে আছে মুদ্রা ও মানুষ বিবেচনায়,
চরম অর্থশূন্যতা আমার ভেতরে ও বাইরে
চোখের মধ্যে ও চোখের কোনায়
চোখ রেখে দেখো। সুনিশ্চিত দেখতে পাবে!

২ জুন, ২০১৬

বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

ধম্মোছড়া অথবা ছাড়া

ধম্মকম্মো অনেক করি
শাস্তপুঁথি অনেক পড়ি
এই দেখো না পূণ্যিফলে
কত্ত বড় ন্যাজ!
শুদ্ধাচারে পেট ভরেছি
বিড়ি তামুক সব ছেড়েছি
মাছ-মাংস! হরি হরি!
খাইনা রসুন-প্যাঁজ!

ও বেটারা কিইবা জানে?
সকল কথায় তক্কো টানে!
দুচার ডিগ্রী পাশ মেরেছে
তাতেই জ্ঞানী-গাধা!
ভগবান কি তক্কে মেলে?
মনের মতন ভক্তি পেলে
মায়ার বেড়ি মুক্ত করে
আপনি পড়েন বাঁধা!

যুক্তিতক্কো গুষ্টি মারো
চোখে ভক্তি পট্টি পড়ো
তবেই পাবে পরম রতন
অতল অন্ধকার!
কয়েক জন্ম তাতে মজে
হাতড়ে হাতড়ে ইষ্ট ভজে
আমার মত ন্যাজ গজালে
তবেই পাবে ছাড়!

অ্যাঁ!

নাস্তিকেরা মরুকগে যাক
বুদ্ধ হোক আর হোক চার্বাক
গণ্ডগোলের কেন্দ্র যত
আস্ত বদের ধাড়ি!
সব জাগাতেই প্যাঁচ কষা চাই
কাজকম্মো আর কিছু নাই
বুদ্ধি দিয়ে কে জেনেছে
কেমন সে শ্রীহরি!!

আমরা আছি ভক্তিপথে
এক্কেবারে সঠিক মতে
ওই বেটাদের কথা ছাড়ুন
শুনুন মোল্লা-মশাই!
সব ধর্মেই বলছে দেখুন
নিজ ইষ্টে আস্থা রাখুন
ইচ্ছে করে এই বেটাদের
কষিয়ে চড় বসাই!

আমরা আছি অন্ধকারে
দুশো পাঁচশ বছর ধরে
আছি আমরা দিব্যি ভাল
তোদের কিসের ক্ষতি?
এই শালাদের স্বভাব এমন
একটু যেন কেমন কেমন
খিস্তি দিলে বলতে পারি
সব শুয়োরের নাতি!

আরে ধম্মোকম্মো বাদ দিয়েছিস
বাপ দাদাদের নাক কেটেছিস
মরলে পরে করবি টা কি
সিধা জাহান্নাম!

বলছি শুনুন মোল্লা-বামুন
খুব বলেছেন এবার থামুন
সত্য জেনে মরতে যাওয়াই
আলোর অপর নাম!

হাজার বছর অন্ধকারে
আটকে ছিলাম বদ্ধ ঘরে
হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে
লাগলো চোখে ধাঁধাঁ!
ভেবেছিলাম মৃত্যু বুঝি
বাঁচতে চেয়ে আঁধার খুঁজি
এমনি দশা-ই হচ্ছে এখন
সত্যি বলছি দাদা!

________________
আজ এদ্দুর!

অমৃতা

অমৃতা তোমার অভিসম্পাতস্নাত হয়ে
আমি বরেছি নাগনন্দিনীকে মিলনকুঞ্জে!
মহোদ্যত মণিদ্যুতিশোভিত ফণায় দিয়েছি চুম্বন
প্রতিপ্রেমে বিষদন্তাঘাত নিয়েছি ওষ্ঠাধরে-
এই দেখো! আগামী জন্মে তোমার স্পর্শে শাপমুক্ত হলে
এ জনমের সকল গরলজ গরিমা সুধায় ভরে
তুমি আমাকে তোমার কোরো- এটুকু প্রার্থনা!
এই সতৃষ্ণ কম্পমান শ্বসনতন্ত্র দেখো বুকের কোঠায়
স্খলনক্ষণ হতে অদ্যাবধি সে চির-ক্রন্দনরত,
তোমাকে নিকষ অরণ্যে রেখে এই আলোক সভায়
নাগলোকে বিষৌষধি পান করে সে উন্মত্ত মাতাল!
জানি সেই বিশ্বাসভঙ্গতার কোন ক্ষমা নেই,
তবুও ক্ষমা চাই, দু'বিন্দু সুধাসিঞ্চন কর হৃদয়ে আমার,
নইলে অকালে চলে যাই, অঙ্গীভূত মরণজাল
আমাকে নাগনটিনীর গ্রাসে অতি সহজেই টানে!
কি মহাবেগ! দুর্বার! আমাকে নিয়ে চলে প্রলয়সন্ধর্ভে,
ক্ষুধা হতে অতিক্ষুধার ক্ষুরধার ক্ষয়িত যৌবনে
অন্ধকার ভেদ করে অতলস্পর্শ অন্ধকারে, শূণ্যগর্ভে
আমি নিষিক্ত হই মরণ মরণান্তর!- আমায় মুক্ত কর!
এ কি অতিভীষণ অভিশাপ! দুর্লঙ্ঘ্য বেদনাদ্রি
আমার পথময় দাঁড়িয়ে থাকে প্রহসনোচ্ছলিত সুখে!
আমি প্রস্তরখণ্ডবৎ পরে থাকি অজানিত রিক্ততায়
হতবিহ্বল দু'চোখ মেলে বিকট উত্তাল পাথার সমুখে
কিসের অপেক্ষায় তাও তো জানি না। আমাকে পার করো।
আমি যেন দু'সহস্র আলোকবর্ষ আলোহীন হয়ে আছি
তোমার অপেক্ষায় শুধুমাত্র শাপমুক্তি পেতে!

অনুছড়া

ঘুম ভাঙলে মধ্য রাতে
ফোনটা তুলে নরম হাতে
বলবে যখন "হ্যালো"!
আমি তখন অর্ধঘুমে
ঠ্যাঙ ছড়িয়ে আমার রুমে-
জবাব দেব দাত খেঁচিয়ে
"ঘুমটা আমার গেলো!"

মানুষকে মানুষ ভেবে

মানুষের ভেতরে আপ্রাণ মানুষ খুঁজেছি!
একটা মানুষের ভেতরে থাকে ক'জন মানুষ!
আমি দেখে দেখে চমকে যেতাম। এত মানুষ কেন?
আমি মুখোশের পেছনের মুখটা খুঁজেছি।
কখনো মরীয়া হয়ে খুঁজেছি মুখের পেছনে মুখোশ,
আমি মুখ ও মুখোশে গুলিয়ে ফেলেছি সব!
চারপাশে কত মানুষকে দেখেছি কুকুর হয়ে যায়,
সময়ে তারা হয় সাপ ও গিরগিটি,
এমনকি হায়েনা ও শেয়াল!
আবার কুকুরকে দেখেছি মানুষের চামড়া গায়ে,
দেখেছি সাপ খোলস বদলে কেমন মানুষ সাজে,
দেখেছি গিরগিটি মানুষের রঙ নেয়,
হায়েনারা হয় মনুষ্যত্বের প্রবক্তাপুরুষ,
আর শেয়ালেরা মারাত্মক ধর্মপ্রবণ!
এতসব দেখে দেখে আমি রক্তশূন্য হয়ে গেছি!
মনে হয় শিরায় এখন যা বইছে তা পোড়া পেট্রোল,
মানুষকে মানুষ ভেবে, অথবা মানুষকে পশু না ভেবে
যে ভুল আমি আজ অবধি করছি, এ তার ফসল!

এসবের পারি না কিছুই

তোমাকে ঘৃণা করতে চেয়ে কতবার
নিজেকে অকরুণা করে ভালবেসে ফেলি!
তুমি যে কেমন নেশা, দুর্বোধ্য প্রচ্ছন্নতা
চোখে লেগে থাকো, আমি মদিরাসক্ত না হলেও
আবোলতাবোল বলি-
হুঁশ থাকে না আমার।
আমার কি যে হয়।
আজকাল চণ্ডমূর্তি ধরে ত্রিলোক সংসার-
অবলোকন করি ঘুরপাক খেয়ে!
দু'হাত পেছনের অতীতকে মনে হয় কতদূর,
কতকাল অচেনা, ভবিষ্যৎকে ভাবি শুধুই অন্ধকার,
এবং বর্তমান- সে তো সিগারেট হয়ে-
আমার সাথেই পোড়ে!
তোমাকে বড় বেশী ভালবাসতে যেয়ে
এই দেখো- নিজেকে কেমন বৃত্তে বেঁধেছি!
একদিন যখন সমস্ত প্রেমের কবিতা পঙ্গপালে খায়
তখন জেনেছি- বুকের হাড়গুলো নোনাজলে ধুয়ে
আমি কি নির্বোধ, কত গণ্ডমূর্খ, কতটা অর্বাচীন!
যে শুধু ভালবাসতে জানে সে হারে
যার আছে কিছুটা প্রবঞ্চনার নীতি, সে-ই শুধু জেতে।
অথবা যে ঘৃণা করতে জানে প্রয়োজনে একদিন
সেও পায় কিছুটা শান্তি কোনমতে।
এদিকে আমাকে দেখো-
আমি তো এসবের পারি না কিছুই।

২৭ এপ্রিল, ২০১৬

বিশ্বাস ও ভুল

উপদ্রুত অহংএর কাছে এসে শুনলাম
মানুষকে অবিশ্বাস করা পাপ বটে,
বিশ্বাস করা ভুল!
কিন্তু কিছু কিছু ভুলকে আমরা পাপ বলি!
কিছু কিছু পাপকে আমরা বলি ভুল!
আমি অনেকভাবেই বোঝার চেষ্টা করেছি
বুঝিনি একচুল, বিন্দুবিসর্গ কিছুই!

এটা কি আমার অক্ষমতা?
ক্ষুদ্রতা? দীনতা? অজ্ঞতা?
এটা কি আমার অপরিজ্ঞাত বোধোদ্ভূত
নিরালম্ব নিরাশা যা আমার নিত্যসঙ্গী হল?
অথবা আমার দিনগত সঞ্চয়
আলোর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হারি-জিতি
অন্ধকারেই আসা, ঘুমানোর সুদৃঢ় প্রত্যয়
নিয়ে রাত জেগে থাকা,
যা আমার অস্থিমজ্জা খেলো?
কবিতায় ডুবিয়ে দিয়ে বর্ষায় থৈ থৈ-
রাতে, যে থাকে তন্দ্রালীন, একি সেই প্রেম?

একি সেই অনুভব যা বলেছে-
ভালবেসো, অথচ বিশ্বাস কোরো না!
যাকে বিশ্বাস করাটা খুব প্রয়োজন
তাকে ভাল না বাসলেই তো পারো!

ললিতা

ললিতা,
আমি দপদপ করা সলতের মত
কখন যে নিভে যাব ঠিক নেই।
তুমি ক্ষমা করে দিয়ো।
যদি বিশ্বাস ও ভালবাসাকে তুমি একই দেহে চেয়েছ
তবে আমার চেয়ে ভাল, তুমি একটা কুকুর পুষতে!
আমার ভেতর ঘাটতি ছিল।
আমার ভেতর ঘাটতি ছিল-
তোমার চাইতে বেশী নিজেকে না বোঝার।
এটা যদি তুমি প্রথমেই বুঝতে
তবে তুমি সুখী হতে আর আমাকেই খুঁজতে
অন্য কারো ভেতর!
আমি এখন আত্মপ্রবঞ্চকের দলে পরি,
লোকেরা বলে কবিরা এমনই হয়।
বিশ্বাস কর, সবাই এমন নয়।
সবাই আমার মতন হলে ফুলেরা পাথর-
হয়ে দেবার্চনার কাজে ব্যবহৃত হত!

চিরঞ্জীব ভাল করে দেখ

চিরঞ্জীব,
বুকের খোলসটার ভেতরে দেখ ভাল করে।
আঁচড়ের দাগ দেখে বলতে পারিস কার নখর?
কার চরম প্রেম ফালাফালা করে গেল আমাকে?
ভাল করে দেখ, কার দু'একটা চুল এখনো লেগে আছে
সৃষ্টিসুখের সর্বনাশ শেষে আমাকে একা রেখে
খোলসটার ভেতর! চিরঞ্জীব, ভাল করে দেখ!

আমার বুকের মাংসে দাঁতের চিহ্ন দেখ!
দেখে বলতো আমি আর কতটা অবশিষ্ট আছি!
কতটা দিন আরও মাংস বেচে খেতে পারি কয়েকশ ঈশ্বর
বিনা সংকটে। ভালো করে দেখ, এখনো বুকে স্যালিভা আছে কার!
কার অতৃপ্ত খঞ্জর ও তার ভোঁতা ব্যবহার
আমাকে অর্ধকর্তিত অস্তিত্ব করে দিয়ে গেল
ভাল করে দেখ!

চিরঞ্জীব, তুই ভাল করে দেখ।

কবিতার উক্তি


তোমার সাথে আমার কিছু সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ে আলাপ আছে।
আমার বাড়ি থেকে পশ্চিমদিকে গেলে পাবে একটা সূক্ষ্ম সমুদ্র,
উত্তরদিকে গেলে পাবে কিছু সূক্ষ পাহাড়, এবং
একেবারে দক্ষিণ দিকে গেলে একটা সরু নদী।
পশ্চিম ও উত্তরে যাবার দরকার নেই। দক্ষিণে যেয়ো।
সরু জলবতীর তীরে বসে সেসব সূক্ষ কথা হবে তোমার সাথে।

তোমার সাথে কিছু গুহ্যাতিগুহ্য কথাও বাকী।
মৈথুনোদ্রেকের মত ওসব কথা অতিশয় নিগূঢ়!
আমার বাড়ির ওপরে দেখলে দেখবে একটা গূঢ়ার্থ আকাশ,
বাড়ির নিচে দেখবে একটা গূঢ়মায়া মৃত্তিকাস্থল, এবং
পূবদিকে এগুলে দেখবে একটা অস্পষ্ট অস্তিত্ব;
আসলে ওটাই আমি।

আমাকে যত কম বুঝবে
আমি তত প্রশংসিত হব!

১ মে, ২০১৬

Once I Tried

Once I tried one second to live bereft of you
It seem's to me that a thousand years passed,
Darkness began to unfold the dark, and a few
Heavens engulfed a bane, stars ceased to light on earth,
Mumbled Your name and your face of unearthly mirth
With innumerable melodies- all were new
Torched some memories, and then dew
Began to fall, the first sigh of Spring had it all
Then I thought I cried.

With all of my vanities and manhood's pride
I thought I cried, but was it enough to end up the pain?
That question was justified and answers were plain!
I had my universe fallen aside, I thought I lied
But the truth wasn't concealed, you knew it well
Why had I been waited and said farewell!

Then You Said

Then you said, 'Dear, thus
The love we had in between us
Will revive If I go away soon.
You'll remember the black and white moon
Once giving light and with a smiling face
Suddenly went off, left no chance to trace!
Then you'll feel what was your love
Finding me again will be very tough!'

----------------
3rd May, 2016

ভালবাসা ব্যর্থ হলে

ভালবাসা ব্যর্থ হলে মানুষ চাঁদের আলোয় ঝলসে যায়!
ব্রহ্মাণ্ড মদিরালয় করেও তার নেশা ধরে না কিছুতেই।
'কোকশাস্ত্র' পড়লে মনে হয় 'বৈরাগ্যশতকম্' পড়ছে!

হৃদয় রগড়ে রগড়ে কিছু কিছু ভালবাসা নিষ্কাশন হলে
মানুষ অন্ধত্ব লাভ করে সূর্যোদয়ের প্রাগদেশে হঠাৎ!
বেদনার অধ্যয়ন শেষে মনে হয় সে নির্বাণের পথনির্দেশ পেল।

৫ মে, ২০১৬

অনুকবিতা ৩

অনেকের তো অনেককিছুই থাকে।
আমার সম্বল শুধুমাত্র ভালবাসা ছিল।
বেচতে চাইনি বলে লুট হয়ে গেল।

অনুকবিতা ২

এই জরাক্লিষ্ট জীবনের
মহাভিনিষ্ক্রমণ শেষে
দাঁড়িয়েছিলাম যার
আঁচলটা ঘেঁষে
সেও যে মিথ্যে!
চোখ তার নদীপাড়
সেই পাড়ে বসে
অগণিত কবিতার
আকুলিত ব্যথায়
ভুলেছি আমি কার
কে আমার এ আমার দেশে
সব যে মিথ্যে।

আমারও কষ্ট হয়

তুমি জানো না সবকিছু ছেড়েছুঁড়ে যেতে
আমারও কি প্রচণ্ড কষ্ট হয়!
আমি বুদ্ধ অথবা নিমাই হতে তো পারি না,
তাই মোক্ষদ্বার বদ্ধ হবার ভয়
আমার আছে অথবা নেই তাও ভাবি না!
শুধু এক চিলতে ভালবাসার নিচে
আমি বৃষ্টিহীন জ্বলে পুড়ে গেছি জানি।
তবুও ছায়ায় ডুবিনি, দাঁড়িয়ে ছিলাম অপেক্ষায়।
তুমি তো জানো আমি কি রকম অভিমানী,
একটু দেরী দেখেই ঝড় হয়ে গেলাম, তাও দ্বিধায়;
যদি আর কোনদিন আমি শান্ত না হই!

আমি চলে গেলাম, তুমিও কি চলে গেলে?
তুমিও কি তোমার গর্ভজাত আকাশকে ফেলে
যেতে পারো যেখানে সেখানে অনায়াসে?
জানো আমার অনেক বেদনা কাছে জমা,
যদি কখনো সময় আসে, যদি কখনো তোমায় ক্ষমা
করে দেয়া যায় ধারদেনা শোধ দিয়ে তবে বলব সব!
নিরূপমা, জানো, এখনো কত কি সম্ভব-
দু'জনে এক হলে? আরও কতবার তুমি গর্ভধারিণী
হবে কত আকাশের তুমি কি জানো! কত যামিনী
আরও চাঁদের কলঙ্ক মেপে তলিয়ে দেয়া যাবে
চোখের সাগরে- তুমি জানো? জানো না বোধ হয়!

আমারও কি প্রচণ্ড কষ্ট হয়
ছেড়ে যেতে শাড়ীর গন্ধ, চুলের অন্ধকার,
সিঁথির চিরল বাঁক, চুড়ির চঞ্চলতা, তোমার মুখের ডাক
সকাল-বিকাল-রাতে, ধানক্ষেত, সবুজ টিয়ার ঝাঁক,
ইছামতী, তেলেবিল, শিং-মাগুরের ঝিল, মাঝপথে
শীতলার অশ্বত্থ গাছ- শালুমোড়া, আমার নগর, গ্রাম;
আমার নিবাস, ধাম; ঘুমভাঙা আড়মোড়া-
সবখানে তুমি মিশে গেছ!

১০ মে, ২০১৬

তুমি এলে এটাই ফাগুন

এই গরমে তোমায় পেলে
কাঠফাটা রোদ মাথায় নিতাম!
ভর দুপুরে উদোল গায়ে
বিলের মাঝে দাঁড়িয়ে র'তাম!
তবুও যদি আসতে তুমি
আইসকিরিমের হাঁক ফাটিয়ে!
সত্যি বলছি জলের পিয়াস
বিদায় দিতাম মার ঝেঁটিয়ে!
তোমার জন্য বৃষ্টি এলেও
থাকতে পারি চাতক হয়ে!
তোমার জন্য ভ্যাপসা গরম
সইতে পারি গলতে গিয়ে!
তবুও যদি আসতে তুমি
আঁচলা ভরা হিমেল বায়ে,
সত্যি বলছি চাইনা বাতাস
তুমিই লাগো আমার গায়ে!
গরমি দিনে তোমার ছোঁয়ায়
লাগলে লাগুক একটু আগুন!
বলছে কারা বোশেখ এটা?
তুমি এলে- এটাই ফাগুন!

Love Overwhelms

Your beauty has tantalised me
Those eyes said, they can tear me apart!
Your lips were drenching my soul
And I felt, without you everything's absurd!
So I strayed aeon after aeon,
Writing stuffs, people say these are poems!
Seeking you, beloved, in every horizon,
This's how I'm alive and love overwhelms!

11th May, 2016

অনুকবিতা ১

তোমাকে ভালবাসি কিনা জানি না।
শুধু জানি তুমি থাকো মুঠোফোনে ওয়ালপেপার।
মারাত্মক দূরত্বের দিনে অকম্প, স্থির;
অভিমান মেঘের মত পূঞ্জীভূত হলে ফোনটির
চোখে চোখ রাখি। জানি না এটা ভালবাসার
অনুভবমালার অন্তর্ভুক্ত কি না।

সে তো কেউ নয়

প্যালা রে,
জানিস আমি ধ্যাননিমগ্ন ধূর্জটি হয়েও
দক্ষযজ্ঞ বিনাশী রূপ ধরে দিগ্বিদিক বিকীর্ণ হই?
আমি প্রগলভ পৌরুষ! আমি কি অমোঘ নারীহৃদয়দাহ্য
হাস্যলাস্যে নির্বাণেচ্ছু গৌতম বটছায়ে মার দর্শন করি!
আমি বহুবাঞ্ছিত, বহু রতিদেবী রমণকাঙ্ক্ষিত দেহতরী
বহুপ্রেম উপেক্ষার স্রোতের পক্ষে ভাসাই!
প্যালা রে, আমি আমৃত্যু কাঁদি আর তোদের হাসাই!
এই অমরত্বহীন জন্তুলোকে দেবত্বের অপলাপ গেয়ে
আমি খিন্ন, ছিন্নভিন্ন শিরা-উপশিরা বয়ে দেহসজ্জায়
দারুণ লজ্জায় আমি রাত্রিনিপাত করি গণিকার গানে!
আমার প্রবল দম্ভ, স্বাভিমান, দর্প, দোর্দণ্ড আত্মবল,
স্বয়ংপ্রভ অভিমান সবকিছু ভেসে যায় মিথ্যার টানে!
এই কদর্যাভিলাষপূর্ণ নরকের পথে, বিজয়ের রথে
দেখ কারা যায়? একটা মানুষ নেই! একটা ফুল নেই!
একটা শান্তির খণ্ড বাতাস নেই!  শুধু রক্ত আর বীর্য্যে মাখামাখি!

অসতীর সতীচ্ছদ দীর্ণ হাহাকার শোন! ভণ্ডের দেশনা শোন!
অপ্রেমিকের মুখে শোন স্বর্গীয় প্রেমের যত দিব্য কাহিনী মালা!
শোন মূক চৈতন্যের গভীরে ক্ষতের জ্বালা টগবগে ফোটে!
প্যালা রে, আমি জন্মেছি এই যুগে, প্রদোষকালে আলোর সংকটে
তাই বুঝি দেখ প্যালা- ক্রমে ক্রমে কেমন আঁধারে ঢুকে যাই!

আমার ভেতরে কি যে আগুন! চোখের মধ্যে হরিশ্চন্দ্র ঘাট!
আমি আমাকে কি করে ভুলিয়ে রাখি, প্যালারাম চলে আয় পত্রপাঠ
সময় সমাগত, এইবার বড় সাধ- নির্বাপিত হই!
আমার কাগজপত্র কিছু, কিছু পুঁথিপাঁতরা বই
সংগ্রহে রেখে দিস! হয়ত তোদের ভবিষ্যৎ মর্যাদা দেবে!
হয়ত একদিন একমুঠো ছিন্ন পাপড়ি কেউ ছুঁড়ে দেবে
মনে করে না থাকা অস্তিত্বে! যে থাকে সে তো কেউ নয়!
সে তো কেউ নয়!

১৩ মে, ২০১৬

মৌ সেন

অস্তমিত ধরণীর আঁধারের ধারে
মৌ সেন, তোমায় আজ কত মনে পড়ে!
কৈশোরে ঈশ্বর প্রেমের ডালায়
দিয়েছিল প্রিয়ংবদা প্রত্যাখ্যান বিষ!
সয়েছিলে যৌবনব্যাপী বিরহের কাঁটা
অপেক্ষার যন্ত্রণায় বলেছ আশিস
বিধাতার পরম সে দয়া!
মৌ সেন, আজ আমার বিনির্মুক্ত বিনিদ্র দেশে
কাউকে পাইনি খুঁজে এত ভালবাসে
তবুও জীবনের অর্গল এসে বেঁধেছে কোথায়
তুমি আজ নেই কেন এমন ব্যথায়!
কি পূজাকে প্রহসন ভেবে
আমি মাটির ঢেলাকে দিয়েছি প্রিয়ে অগাধ সম্মান!
আমার সোনার প্রতিমা গেল অতলান্তে ডুবে
আজ আদ্যোপান্ত সেই পুরা-উপাখ্যান
আমি ভেতরে ভেতরে যাই পাতা উল্টিয়ে।

ক্ষমা করো মৌ সেন, আজ পৃথিবীর দ্বারে
তোমাকে দাঁড়াতে দেখি অবুঝ আঁধারে,
হাতছানি দিয়ে বলো তুমি আর নেই
আমিও ভাবতে চাই এটা সহজেই
অথচ আজ এটা দুরূহ, কঠিন।

১৪ মে, ২০১৬

শর্মিষ্ঠা

শর্মিষ্ঠা,
সেই চোখ, কালো তিল, ঠোঁটজোড়া হাসি
ভাল কেন লাগছে এত? না কি ভালবাসি?
এ দ্বিধায় ধুয়ে গেল ষোড়শ সময়
এক যুগ পরে এসে কেন তুমি-ময়
হয়ে যায় কবিতার পাতা?

তোমার আর কোনদিন পড়ে না তো মনে
কোন উদ্ভ্রান্ত কিশোর কবি ক্লাসে এককোনে
বসে কবিতার বাণী গাঁথে, তোমাকে ভাবায়।
কি যে তুমি ভেবেছিলে, - চাঁদের প্রভায়
উদাস হয়ে গো আমি কত যে ভেবেছি।
সেদিন যা বলনি তুমি, আজ বুঝেছি;
অথচ......

১৪ মে, ২০১৬

তা তো তুমি জানো

'ভালবাসি না আর' বলে যতবার ফিরে গেছি
যতবার মুখ ঘুরিয়ে চলে আসতে চেয়েছি হনহন বেগে
যতবার মুখে মেখে গনগনে রোদ্দুর কি ভীষণ রেগে
আমি ফিরিয়ে নিয়েছি চোখ, ততবার -
ঠিক ততবারই ভেবেছি কেউ পেছনে দাঁড়ানো কি না,
নিরবে ডাকছে কি না, চোখে কি জলের কণা
কারো জমে জমে বর্ষা এলো কি না
আমার খরায়?

তোমাকে উপেক্ষার কথা বলে আমি অপেক্ষায়
থাকি আমার ভেতর কেঁদে অনেক প্রহর!
তুমি যে শুনতে পাও মেঘ গর্জন
যদিও ভিজতে পারে তোমার শহর
মেঘ ডেকে গেলে- তা তো তুমি জানো!

১৬ মে, ২০১৬

এ বছরের সব কবিতায়

বসতে যদি একটুখানি....
আমার পাশে......
জৈষ্ঠ্য মাসের মিষ্টি রোদে.......
মিইয়ে পড়া নরম ঘাসে...........
হাসতে যদি কৃষ্ণচূড়ার রক্তদলে জগত ভুলে....
রাখতে যদি হাতটা তোমার আমার হাতে....
গন্ধ আসে........
তোমার চুলের.....
চুলটা খুলে.........
নীল আকাশে পাখির ডানায়......
ভাসতে যদি আমার সাথে দূর অজানায়....
কুন্দ ফুলের.....
হৃদয় ছেঁড়া কান্না শেষে......
চোখের কোনায়....
জমতে যদি নেশার মতন.......
ঘুমের দেশে....
বুঝতে তখন আমি তোমায় কত্তো ভালবাসি....
এত ব্যথার পরেও কেন তোমার কাছেই আসি...

না হয় তোমার চোখ দুটো আজ......
ডুবেই যাবে চোখের জলে......
তবুও চাই বন্যা আসুক......
শুকিয়ে যাওয়া নদীর কোলে......
ভাবতে যদি আমার মতন.......
আঁচল পেতে এই মাটিতে.......
বাসতে ভাল সকল কিছুই......
ভ্যাবলামি আর পাগলামিতে......
আমায় সেদিন বুঝতে.....
এ বছরের সব কবিতায়....
আমায় তুমি খুঁজতে........

১৭ মে, ২০১৬

শ্যামল কান্তি

তোমাকে ভালবেসেছি,
হাত ধরেছি, চুমু খেয়েছি, জেনা করেছি!
ইয়া আল্লাহ! মসজিদের মাইকে ডাকো জনপদ!
এই হারামীকে কোতল করো! কানে ধরেছি-
শ্যামল কান্তি তুমি মাফ! সহীহ কিতাব পড়ো,
মানুষের অপমানে আল্লাহ খুশী!

মানুষের অধীনতায় আল্লাহ সর্বগ্রাসী,
মানুষের ক্ষুদ্রতায় আল্লাহ সর্বব্যাপী,
মানুষের দীনতায় আল্লাহ রাজাধিরাজ,
মানুষকে ভালবেসে ইয়া আল্লাহ আমি মহাপাপী
আমার শরীরে নেই বান্দার সাজ, আজ
তাই ব্রাত্য হয়েছি হিন্দু মূর্তির মত!

মসজিদের মাইকে ডাকো জনপদ!
আমাকে ভেঙে ফেলো সহীহ গুজব দিয়ে!
শ্যামল কান্তি তুমি মাফ! শ্যামল ঘাসে শুয়ে
স্বাধীন শ্যামল বাংলা দেখেছিলে দুঃস্বপ্নের মত একদিন
'জয় বাংলা' ও রণাঙ্গনোক্ত মুক্তির শপথ
সবই তো আজ তোমার বিপক্ষে গেছে!

১৯ মে, ২০১৬

পলাতক দেশপ্রেম

এই যে অধর্ম-নিরপেক্ষতা, ক্রমবর্ধমান অনর্থনীতি,
সঙ সাজানো সংবিধান, অগণনতন্ত্রের গরলপাশ,
বামপন্থা, ডানপন্থা, মধ্যপন্থা, অত্যুগ্রপন্থা-প্রীতি,
অপগতিশীলতা, দুর্গতিবাদ, কুপ্রথায় প্রচল বিশ্বাস,
অচৈতন্যাবস্থা জনগণ অথবা কীটশ্রেণীর এ দেশে-
এই যে সত্য সদা অপ্রতিপাদিত, অপ্রতিপন্ন মানবতা,
অপ্রতুল দারিদ্র্যনিধি ঘরে ঘরে, উন্নয়ণের স্বর্গবাস শেষে
ঈশ্বরের দাসত্ব মেনে মানুষের রক্তপান, অসীম দ্ব্যর্থকতা
এসে ভাসিয়েছে অরাজনীতিজ্ঞের বাণী, রক্তলিপ্সু চোখ
যার- শোষণ করেছে প্রতিটি শস্যখেত সে আজ মহাণ,
অথচ সর্বহারা চাষীরাও লাঙল চালাতে পারে আমার বুকে
যদি সে দানবও বলে আমি একটি ভোট দিয়েছি স্বেচ্ছায়
ঈশ্বরের বিপক্ষে! বক্তব্য অপ্রমাণিত হলেও আমি মৃত!
এই যে নৈমিত্তিক নৈরাজ্য, এই যে অন্ধকার অন্ধকারের মুখে
প্রশংসিত হয়, অতুল্য মানুষখুনের রীতি, প্রত্যহ বলাৎকার
বালিকা, যুবতী, প্রৌঢ়া; সুরক্ষিত অথবা অরক্ষিত স্থানে ঢুকে
বিষধর সরীসৃপের মত, বক্রচলিত নীতি, আইন, আইনাগার
বিড়ি ফুঁকে আমোদিত উন্মাদের মত ফুটপাতে হাস্যোচ্ছল!
এ আমার দেশ, আমি কানে ধরে উঠবস করি, মাটিতে পরে যাই,
ভেতরে ধসে যাই, মস্তিষ্কের সকল যন্ত্র আকস্মিক সকল বিকল
বঙ্গবন্ধু আর আমার বন্ধুতে ফারাক দেখে সেদিন আকাশে!

আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এবং পরবর্তী সকল যুদ্ধে হেরে গেছি,
আমার সোনার দেশে আমি দিনদিন নেতিয়ে পড়েছি বিনা ক্লেশে
সমস্ত হারানোকে সর্বস্ব সমর্পণ জেনে! ধিক আমার নরজন্ম!
শতকোটি ধিক! লোকে লোকে দিক পতাকার দড়ি টেনে
আমার গলায়! মাননীয়া জন্মভূমি, কৃপা হলে এবার একটু হেসে
বিদায় দাও ক্রোড় থেকে ক্রোড়ান্তরে অত্যন্ত সন্তর্পণে,
কেউ না জানুক কত শ্যামল, বিমল, অমল হারিয়ে গেল চিরতরে
হারিয়ে যাবার গুণে, কত স্বদেশপ্রেম হল চির-পলাতক!

২০ মে, ২০১৬

একদিন জানলাম- ভুল ছিল

এক অদেখা স্বপ্নের ওপর ছিল অগাধ আস্থা।
ভেবেছিলাম, এই তো আমার বিরাট সম্পদ-
যা দিয়ে কিছুটা আয়াসে ঘর বাঁধা যায়!
ভুল ছিল। নিরতিশয় সুখ চিন্তনে প্রমাদবৎ,
অনেক দ্বিধায়- একদিন জানলাম, ভুল ছিল!

তুমি আর আমার কাছে এসো না, জ্বলে যাবে।
জঠরানল সারাক্ষণ প্রদীপ্ত যদি থাকে কারো,
সে যদি কবিও হয়, তার কাছেও,
সত্যকে মানতে না পারো- তবু বলি;
প্রেয়সী হয়ত হয় স্রেফ মাংসপিণ্ড!

চেয়ো না সংসার আমার কাছে।
আমি কাঠকয়লা অঙ্গার, শুধু চোখদুটো টিকে আছে
আমারই অস্তিত্বের বিলোপ দেখার জন্য।
চেয়ো না কিছুমাত্র সৌন্দর্য্য এখন আমার কাছে
আমার যা ছিল তা নিয়ে ধন্য-
হও, বর্তমানের সব জাতুগৃহে রাখা!

'মানুষ মরে গেলে পচে যায়'
বেঁচে থাকলে সে মরণের প্রক্রিয়াধীন! বেঁচে থাকা-
কতটা অর্থহীন, আমাকে দেখে শেখো,
আমাকে দেখো, জেনে নাও, তুমিও জীবিত কি না
স্বপ্নের মত ঘুমের গভীরে! এই দেখো অমলিনা
অপ্রতিভ আকাশের দূরে এক কোনে
একখণ্ড জল জমে আছে!

২৪ মে, ২০১৬

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...