বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

অমৃতা

অমৃতা তোমার অভিসম্পাতস্নাত হয়ে
আমি বরেছি নাগনন্দিনীকে মিলনকুঞ্জে!
মহোদ্যত মণিদ্যুতিশোভিত ফণায় দিয়েছি চুম্বন
প্রতিপ্রেমে বিষদন্তাঘাত নিয়েছি ওষ্ঠাধরে-
এই দেখো! আগামী জন্মে তোমার স্পর্শে শাপমুক্ত হলে
এ জনমের সকল গরলজ গরিমা সুধায় ভরে
তুমি আমাকে তোমার কোরো- এটুকু প্রার্থনা!
এই সতৃষ্ণ কম্পমান শ্বসনতন্ত্র দেখো বুকের কোঠায়
স্খলনক্ষণ হতে অদ্যাবধি সে চির-ক্রন্দনরত,
তোমাকে নিকষ অরণ্যে রেখে এই আলোক সভায়
নাগলোকে বিষৌষধি পান করে সে উন্মত্ত মাতাল!
জানি সেই বিশ্বাসভঙ্গতার কোন ক্ষমা নেই,
তবুও ক্ষমা চাই, দু'বিন্দু সুধাসিঞ্চন কর হৃদয়ে আমার,
নইলে অকালে চলে যাই, অঙ্গীভূত মরণজাল
আমাকে নাগনটিনীর গ্রাসে অতি সহজেই টানে!
কি মহাবেগ! দুর্বার! আমাকে নিয়ে চলে প্রলয়সন্ধর্ভে,
ক্ষুধা হতে অতিক্ষুধার ক্ষুরধার ক্ষয়িত যৌবনে
অন্ধকার ভেদ করে অতলস্পর্শ অন্ধকারে, শূণ্যগর্ভে
আমি নিষিক্ত হই মরণ মরণান্তর!- আমায় মুক্ত কর!
এ কি অতিভীষণ অভিশাপ! দুর্লঙ্ঘ্য বেদনাদ্রি
আমার পথময় দাঁড়িয়ে থাকে প্রহসনোচ্ছলিত সুখে!
আমি প্রস্তরখণ্ডবৎ পরে থাকি অজানিত রিক্ততায়
হতবিহ্বল দু'চোখ মেলে বিকট উত্তাল পাথার সমুখে
কিসের অপেক্ষায় তাও তো জানি না। আমাকে পার করো।
আমি যেন দু'সহস্র আলোকবর্ষ আলোহীন হয়ে আছি
তোমার অপেক্ষায় শুধুমাত্র শাপমুক্তি পেতে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...