এই যে অধর্ম-নিরপেক্ষতা, ক্রমবর্ধমান অনর্থনীতি,
সঙ সাজানো সংবিধান, অগণনতন্ত্রের গরলপাশ,
বামপন্থা, ডানপন্থা, মধ্যপন্থা, অত্যুগ্রপন্থা-প্রীতি,
অপগতিশীলতা, দুর্গতিবাদ, কুপ্রথায় প্রচল বিশ্বাস,
অচৈতন্যাবস্থা জনগণ অথবা কীটশ্রেণীর এ দেশে-
এই যে সত্য সদা অপ্রতিপাদিত, অপ্রতিপন্ন মানবতা,
অপ্রতুল দারিদ্র্যনিধি ঘরে ঘরে, উন্নয়ণের স্বর্গবাস শেষে
ঈশ্বরের দাসত্ব মেনে মানুষের রক্তপান, অসীম দ্ব্যর্থকতা
এসে ভাসিয়েছে অরাজনীতিজ্ঞের বাণী, রক্তলিপ্সু চোখ
যার- শোষণ করেছে প্রতিটি শস্যখেত সে আজ মহাণ,
অথচ সর্বহারা চাষীরাও লাঙল চালাতে পারে আমার বুকে
যদি সে দানবও বলে আমি একটি ভোট দিয়েছি স্বেচ্ছায়
ঈশ্বরের বিপক্ষে! বক্তব্য অপ্রমাণিত হলেও আমি মৃত!
এই যে নৈমিত্তিক নৈরাজ্য, এই যে অন্ধকার অন্ধকারের মুখে
প্রশংসিত হয়, অতুল্য মানুষখুনের রীতি, প্রত্যহ বলাৎকার
বালিকা, যুবতী, প্রৌঢ়া; সুরক্ষিত অথবা অরক্ষিত স্থানে ঢুকে
বিষধর সরীসৃপের মত, বক্রচলিত নীতি, আইন, আইনাগার
বিড়ি ফুঁকে আমোদিত উন্মাদের মত ফুটপাতে হাস্যোচ্ছল!
এ আমার দেশ, আমি কানে ধরে উঠবস করি, মাটিতে পরে যাই,
ভেতরে ধসে যাই, মস্তিষ্কের সকল যন্ত্র আকস্মিক সকল বিকল
বঙ্গবন্ধু আর আমার বন্ধুতে ফারাক দেখে সেদিন আকাশে!
আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এবং পরবর্তী সকল যুদ্ধে হেরে গেছি,
আমার সোনার দেশে আমি দিনদিন নেতিয়ে পড়েছি বিনা ক্লেশে
সমস্ত হারানোকে সর্বস্ব সমর্পণ জেনে! ধিক আমার নরজন্ম!
শতকোটি ধিক! লোকে লোকে দিক পতাকার দড়ি টেনে
আমার গলায়! মাননীয়া জন্মভূমি, কৃপা হলে এবার একটু হেসে
বিদায় দাও ক্রোড় থেকে ক্রোড়ান্তরে অত্যন্ত সন্তর্পণে,
কেউ না জানুক কত শ্যামল, বিমল, অমল হারিয়ে গেল চিরতরে
হারিয়ে যাবার গুণে, কত স্বদেশপ্রেম হল চির-পলাতক!
২০ মে, ২০১৬
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন