বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

ধম্মোছড়া অথবা ছাড়া

ধম্মকম্মো অনেক করি
শাস্তপুঁথি অনেক পড়ি
এই দেখো না পূণ্যিফলে
কত্ত বড় ন্যাজ!
শুদ্ধাচারে পেট ভরেছি
বিড়ি তামুক সব ছেড়েছি
মাছ-মাংস! হরি হরি!
খাইনা রসুন-প্যাঁজ!

ও বেটারা কিইবা জানে?
সকল কথায় তক্কো টানে!
দুচার ডিগ্রী পাশ মেরেছে
তাতেই জ্ঞানী-গাধা!
ভগবান কি তক্কে মেলে?
মনের মতন ভক্তি পেলে
মায়ার বেড়ি মুক্ত করে
আপনি পড়েন বাঁধা!

যুক্তিতক্কো গুষ্টি মারো
চোখে ভক্তি পট্টি পড়ো
তবেই পাবে পরম রতন
অতল অন্ধকার!
কয়েক জন্ম তাতে মজে
হাতড়ে হাতড়ে ইষ্ট ভজে
আমার মত ন্যাজ গজালে
তবেই পাবে ছাড়!

অ্যাঁ!

নাস্তিকেরা মরুকগে যাক
বুদ্ধ হোক আর হোক চার্বাক
গণ্ডগোলের কেন্দ্র যত
আস্ত বদের ধাড়ি!
সব জাগাতেই প্যাঁচ কষা চাই
কাজকম্মো আর কিছু নাই
বুদ্ধি দিয়ে কে জেনেছে
কেমন সে শ্রীহরি!!

আমরা আছি ভক্তিপথে
এক্কেবারে সঠিক মতে
ওই বেটাদের কথা ছাড়ুন
শুনুন মোল্লা-মশাই!
সব ধর্মেই বলছে দেখুন
নিজ ইষ্টে আস্থা রাখুন
ইচ্ছে করে এই বেটাদের
কষিয়ে চড় বসাই!

আমরা আছি অন্ধকারে
দুশো পাঁচশ বছর ধরে
আছি আমরা দিব্যি ভাল
তোদের কিসের ক্ষতি?
এই শালাদের স্বভাব এমন
একটু যেন কেমন কেমন
খিস্তি দিলে বলতে পারি
সব শুয়োরের নাতি!

আরে ধম্মোকম্মো বাদ দিয়েছিস
বাপ দাদাদের নাক কেটেছিস
মরলে পরে করবি টা কি
সিধা জাহান্নাম!

বলছি শুনুন মোল্লা-বামুন
খুব বলেছেন এবার থামুন
সত্য জেনে মরতে যাওয়াই
আলোর অপর নাম!

হাজার বছর অন্ধকারে
আটকে ছিলাম বদ্ধ ঘরে
হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে
লাগলো চোখে ধাঁধাঁ!
ভেবেছিলাম মৃত্যু বুঝি
বাঁচতে চেয়ে আঁধার খুঁজি
এমনি দশা-ই হচ্ছে এখন
সত্যি বলছি দাদা!

________________
আজ এদ্দুর!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আমায় তুমি করছ আড়াল

  আমায় তুমি করছ আড়াল আঁচল ছায়ে তোমার কোলে, আমি বড়ই অধীর বাইরে যেতে বড়ই  ব্যাকুল, দুষ্ট ছেলে! বিশ্বভুবন দিচ্ছে সাড়া- 'ও তুই চোখ খুলে...