বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

প্রথম দেখা

আমি জানি না ঢাকা শহরের এই অজস্র রিকশার মধ্যে কোনটায় তুমি আছ।
অথবা ঠিক কোন রাস্তা দিয়ে তোমাকে বহনকারী রিকশাটা আসবে।
আমার চোখ অবিশ্রান্ত উৎকন্ঠায় দু'ঘন্টা চঞ্চল, কখন সে নিরর্গল ভাসবে
রূপের বন্যায়, লেকের পাড়ে কিছুক্ষণ যদি কেউ বসবে, নগর কোলাহল
শুরুর অনেক আগে শীতের ভোরে হাত ধরে পাশাপাশি কবিতা যুগল,
কথার অভাবে তারা হাসবে! অধরের দূরত্ব অসহ্য জেনে তারা কাঁপবে!

আমি দেখিনি কোথায় তোমার বাস। কোন ছাত্রী নিবাসের কততম ফ্লোরে।
আমি ওই যাত্রীছাউনিটা চিনি শুধু! তোমার চাউনির জোরে যেটা টিকে আছে
কশেরুকার পিঞ্জিরায় সেই আবাসকে জানি ভালমত, চিনি সেটা ভাল করে;
এবং আমার বিশ্বাস ছিল ওই ঠিকানাতেই তুমি একদিন অবশ্যই চিরস্থায়ী হবে।
এটুক ভরসা করেই আমি সারারাত বাসের ভেতর ছিলাম জেগে স্বপ্ন দেখে,
লক্ষবছর আমি তোমাকে দেখিনি কেন? একদিন সমস্ত রেখে বৈরাগ্য গৌরবে,
অদৃশ্যকে ভাবার সুখে আমি দৃশ্যময়ীকে দিয়েছি বিসর্জন....

তাই বুঝি এত রিকশার চলাচল, এত অপেক্ষা, এত কুহেলীর আয়োজন
আমার হৃদয় ঘিরে সেই সে প্রথম দিনে, দিন ক্ষণ মাস- কিছু মনে নেই,
তুমি তো জানো তিথিনক্ষত্র বিস্মরণীয় চিরকাল আমার স্বভাবে
আমি সহজেই- ওসব খেয়ে ফেলি মগজটা ঝেড়ে নানাবিধ খাদ্য অভাবে
ক্ষিদে লাগে যে-ই, যেভাবে সেদিন পদ্মটা খেয়েছিল ভ্রমরের প্রাণ!

২৫ মে, ২০১৬

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...