শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

দংশনবিরতি চুক্তি

কালকেউটের সাথে দংশনবিরতি চুক্তি করেছি
আমার বিশ্বাস সেও মানে অবশ্যই শান্তি প্রস্তাব!
সেও বোঝে বিষে বিষে বিষক্ষয় অসম্ভব কথা!
সম্ভাব্য সকল সৌহার্দ্য সংলাপ আমি বলেছি তাকে,
আমি তাকে বুঝিয়েছি আমাদের কিসের অভাব!
সেও চায় বিষের বিনিময়ে মধুমুগ্ধ চর্চিত সমঝোতা-
অঢেল সর্পিল মনুষ্যবুদ্ধির বহুধা ধাবিত সুবিন্যস্ত পাঁকে
তারও কিছু কথা- আমার একান্ত ভাল লেগে যায়!
এখন সে সাপ আছে শান্তির দেশে
আমার পদাঙ্গুলি সাপের ফনায়!

সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

দান্তের করণীয়

আলিঘিরি দান্তে
যদি দাঁতের ব্যথার কিছু উপশম জানতে
জড়িবুটি বেচে বেচে ইটালীয় কায়দায়
এ শহরে ঠাঁই পেতে, নতুবা যে টেকা দায়;
খদ্দের ডেকে ডেকে দু' চারেক আনতে
এই করে দুইবেলা ভরে যেত পেট!
ইঁদুর মারার বিষ, তেলাপোকা, ছাড়পোকা
মারার মহৌষধে বেড়ে গেছে রেট!
মানুষও যে খেয়ে ফেলে মাঝেমাঝে শখ করে
এসবে ডিমান্ড খুব, আইডিয়া গ্রেট?
তাই বলি যদি কবিতা ফবিতা ছেড়ে
ফেরি কর কাঁচের বোতল ভরা দাঁতের মাজন,
মালামাল হয়ে যাবে দু'তিন বছরে
খদ্দের জুটে যাবে ডজন ডজন-
যারা জানে না দান্তে বাবু দাঁতের ওজন
সময়ে যে ধার্য্য হয়ে যায়!
তুমি তাদেরও শেখাতে পারো কি কি কবিতায়
জীবনকে বলা হল স্রোতের মতন,
সাঁতারের কি মাহাত্ম্য তাতে- যখন ডাঙায় বসে
কালক্ষেপণ করা যার শোভা পায়
প্রাত্যহিক গড্ডালিকা মেপে?
বুঝলে কি কিছু?

রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

Nothing Is Finished

One's heart is not made of stone
Hence it's a subject to death,
Subject to decomposition!
Remember those nights- one wept alone
And never satisfied with any conclusion
Because nothing proves nothingness
Truly virtuous!
When tears stop flowing we begin to scorch
Our several dreams burnt and
Some obvious-
Realities indeed betray with too many-
Hotchpotch and fallacious wisdom
They appear to us as philosophies,
Philosophies unknown-
Oblivious- we never reject any.
Because rejection-
Of our earliest truths provoked
A thousand million-billion agony;
Forced to arise and embed in life,
And their crucifixion-
Here continued
Still they thrive.

Though discontented we are
But futile to deny a cup of venom
We say it a cup of nectar, and-
Nevertheless we drink.
As we go, we go forward, we think
No word remains for a newest rhyme,
So close we come to the end, so close
We come to the Time-
But at last we see

Nothings finished.     

শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

প্রীতিলতা ও আমার সুশীলত্ব

প্রীতিলতার আত্মাহুতি নিয়ে আমি গতকাল কিছু লিখতে পারিনি।
প্রীতিলতা- রামপাল ও কাশ্মীরের মত গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়।
অবশ্য দু'দিন ধরে আমি ক্যাটরিনা কাঈফ ও 'বার বার দেখো'
দেখে অনেকবার স্খলিত হয়েছি; প্রীতিলতার কথা অন্য সময়
লেখা যাবে- ভেবেছি হাই কমোডে বসে- কমরেড স্বদেশ আগে,
এই দেশ যদি ভাগ্যোদয়ে চীন ও রাশিয়া হয়- তবে প্রীতিলতার
মর্মর প্রতিকৃতি গড়া হবে- মাও ও স্টালিনের পায়ের তলায়!
মাঝেমাঝে প্রীতিলতা, আমারও কষ্ট লাগে,
আমাদের সুশীল চিন্তাগুলো গলাবাজি, কলমবাজি, আর হাততালিতে
পরিপুষ্ট হতে পারে শুধু, নৈতিক মূল্যামূল্য জিভের ফলায়-
আছে, বাকী ক্ষেত্রে সত্যাসত্য অনির্ণীত চিনি ও বালিতে-
ভেদাভেদ আছে কি নেই তা আমরা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ভাবি!
নারীবাদীর আদর্শ হতে পারে তসলিমা নাসরিন আর আরাধ্য শাহরুখ খান!
তুমি অথবা মাতঙ্গিনী অথবা লক্ষ্মী বাঈ সব্বাই পুরনো তালা-চাবি
এ জামানায় অকেজো খুব, তাই যথাযোগ্য সম্মান- কম পড়ে যায়!
অথচ সানি লিওনও একজন ইন্সপিরেশন, দ্রৌপদীকে বেশ্যা বলা সাজে
যা কিছু দেশের আছে লক্ষ যুগ ধরে, সবকিছু অসভ্য, নিরর্থক, বাজে-
এ রকম বামপন্থায় বমিবমি ভাব- ডানপন্থা এটা ভেবে মাথা চুলকায়!
প্রীতিলতা, প্রীতিলতা কোন আদর্শ নয়, বয়সের ভুল!
খুনাখুনি- নৈরাজ্যবাদ করে করে স্বাধীন হওয়া গেছে?
অহিংসার ব্রত বুকে পথ চলতে যদি, তবে নিঃশঙ্কুল
জীবন ও ক্ষমতা- তুমি সব পেয়ে যেতে!
আমার চামড়ায় ও রোমকূপে অহিংসার ধারা,
শুধু টিশার্টের মাঝখানে- চে গুয়েভারা!

বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ক্ষুধাকে করেছি উপহাস



আমার শ্যামলে সুপক্ক হলুদাভ সোনার ক্ষেত
বারোমাসে চঞ্চলা সরিতার ধারে বটছায়া,
চৌদিকে বিভিন্ন বিপ্লবের পঙ্গপাল ওড়ে, শুভাশুভ সংকেত পাই!
মতবাদের প্রাচুর্য্যে ভরা বাজার-ঘাট, নানা ধূয়া-
ধূমায়িত করে রাখে মসজিদ-মণ্ডপ, মানুষেরা কাষ্ঠবৎ;
শ্বাসকষ্ট প্রমাণ করে তারা তবুও জীবিত! কচ্ছপ গতির-
সাথে প্রগতিশীলতা বাড়ে, প্রগতিশীলতা বাড়ে শীলতা ছাড়াই!

আমি কবে থেকে একান্ত অধীর, স্থবির ও বধির!

আমার বাড়ির ছাদের পরিমাপে আকাশ কেনা আছে,
সংবিধিবদ্ধ প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র দিয়েছিল দলিলে স্বাক্ষর,
আইনের বইয়ের ভাঁজে বুদ্ধিদীপ্ত কিছু পোকামাকড়
এখন সেসবের সংরক্ষণ করে অনেক যত্নে, আর তুলসী গাছে
নারায়ণের অভিশাপে মরণ লেগে গেছে উঠান মঞ্চে,
সে খুনের বিচার নেই, তুলসী নিরক্ষর!

সোনা বৌ শাঁখ তো বাজায় না, সকাল সন্ধ্যে অন্ধ দেউল-
পাখি ও ঝিঁজির ডাকে পুলকিত হয়ে যায়, আহা! সেই ভালো!
এর বেশী প্রাপ্ত হলে শাঁখের করাত জোটে, উভমুখে সংকট সংকুল!
শোনো 'কর্মণ্যেবাধিকারস্তে', ফলাসক্ত হয়ে গেছি, তাই ভাঙাকুলো-
হয়ে ভেতরের উনুনটার পাশে বসে উষ্ণতা চাই!

আমার পূর্বজ মনুষ্যকূলের ছিল যত অলিখিত অধিকার
সব এখন নথিপত্রে নাক খত দিয়ে আছে ঘাড় নিচু করে!
আমার হেঁসেলে দেখি বাড়ন্ত সুখ, নির্দ্বন্দ্ব নির্বিকার
অন্ত্রের সাথে গণতন্ত্র অথবা আর কি তন্ত্র মেলে যুক্তি বিচারে
কবে থেকে আমি ক্ষুধাকে করেছি উপহাস!

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

পরিত্যক্ত প্রশ্ন

একটি অপঘাতের মৃত্যু দিতে পারে শহীদ অথবা দেশদ্রোহীর খেতাব
একটি লাশ হতে পারে এক সপ্তাহের জমাট হুজুগ অথবা টকশো প্রলাপ
একটি রাস্তার মোড়ে কখনো ভাসতে পারে গণজোয়ার
একটি নৈমিত্তিক ভোরে খুলে যেতে পারে কোন কোন জনপদে নরক দুয়ার
আরাধ্যের ঘরের চালে আগুন উড়িয়ে, কখনো নামতে পারে ঘৃণার বরষা
কখনো পতাকার সীমান্ত হারিয়ে মানুষ গড়তে পারে একান্তে বুনো বাসা
খড়বিচালি বিছিয়ে দিয়ে স্বপ্নের প্রার্থনা করতে পারে কারো বিনিদ্র চোখ
মানুষের রক্ত খেয়ে মানুষেরা বাঁচে, আহার ও আহার্য্যের মাঝে কার কিসে শোক
সে প্রশ্নে বিচলিত খাদ্যশৃঙ্ক্ষল!

আমাদের মৃত্যু গুলো অনিবেদিত থাকে ঈশ্বরের পায়,
অথচ ধর্মবোধ, অথচ অধর্মে অনাস্থার কথা আমরা আমৃত্যু বলি!
আমাদের স্বঘোষিত বিজ্ঞানে রুচি, সসীমে আবদ্ধ যত যুক্তির কথা,
পুরাতনকে অগ্রাহ্য করা আধুনিক খুলি-
নিয়ে আমরা পূর্ণ জীবিত নানা রঙে!

এ ভাবেই প্রতিদিন অতিকথায় অতিবাহিত হই,
প্রতিদিন নিজেই নিরুত্তর নিজের সামনে এসে
যে আমিটা প্রশ্ন করে সে আমিটা কৈ?
অকালে প্লাবিত বন্যার ক্রুরতার মত হাসতে শিখেছি আমরা অনেক ব্যথায়
কোথায় যে ভেসে যাই, ছিলাম কোথায়-
এসব প্রশ্ন পরিত্যক্ত বটে!

বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

সে আর মৃত্যু



অতএব প্রিয়তম আরেকবার ধন্যবাদ।
যে দূরভিসন্ধি ছিল আমার তোমার কাছ থেকে
কিঞ্চিৎ প্রণয় লাভের তাও হল দূরীভূত আরেকবার।
আরেকবার ওই চোখে যার মাঝে কস্মিনকালেও ছিল না প্রেম,
ছিল না দয়া, করুণা, ধৃতি ও নির্দোষীকে দিতে ক্ষমা-
সামান্য অনুগ্রহ, আমি আরেকবার তাতে বিমোহিত হলাম!
এই সমগ্র সম্মোহণ স্বশরীরে স্বর্গারোহণের মত সুখকল্প অতিশয়
সকল স্বাভিমান যাতে দ্রবীভূত হয়, আমি তাতে দ্রবিত ছিলাম
তোমার অতুলতার মহিমা বিলাপ গেয়ে কয়েক লক্ষবার, আয়ুক্ষয়-
মনে হত প্রতিক্ষণে আমি একবার নতুন জন্ম পাই, আমি জন্মাই!

বারেবারে মৃত্যুকে ডেকে দেখেছি সে কেমন নিষ্ঠুর!
কেমন দম্ভদর্পে ভরা সচল ব্রহ্মাণ্ডগ্রাসী দোর্দণ্ড আঁধার!
আমি কেঁদে কেঁদে রাত্রিদিন সৃষ্টির প্রথম জলোচ্ছাসের মত ডেকেছি
দেখেছি সে কেমন নীরব, কেমন মুখাপেক্ষাহীন, সকল বাধার
মুখে নিরুত্তর অথচ ধ্বংসের ধ্বজাবাহী অন্তিমে তার বিনম্র বিজয়;
আমি আমার ভেতরে একদিন কত তাকে এঁকেছি, কত শব্দ অপচয়
তার জন্য হয়ে গেছে কবিতার পাতায় পাতায়!

সে আর তোমার মাঝে খুব বেশী মিল
দুজনই অন্ধকার, দুজনই কুটিল!

বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বিশাখদত্ত জানে

হা নিশানাথ!

এতক্ষণে উদিলে কি নভস্থল-পরি
তমোময়ী যামিনীর বিরহের কূলে
আসিলে কি অকস্মাৎ মহাবিশ্ব ঘুরি!
অপেক্ষার অন্ত্য করি প্রণয়ের জালে
বাঁধিবারে কুমুদিনী আপনার ডোরে
আলোক বিকীর্ণ করি কুসুমকোরকে,
জগত ডুবিয়া গেলে আজি ঘুমঘোরে
নামিয়া আসিবে তুমি তটিনীর বাঁকে।

জ্যোৎস্না প্রমত্ত করি রচিবে বাসর
অনন্ত অনঙ্গ আসি ভরি দিবে সুধা
অক্লান্ত পিপাসা আর অবারিত ক্ষুধা
অদম্য আদিম বলে গ্রাসিবে অন্তর!

হা নিশিথেশ!

একি দুরাশায়            ঘোর বরিষার
         তোমারে সঁপেছি প্রাণ।
তুমি তো গগনে           আঁধার লগনে
          একাকী গাহিছ গান।
আমি ভিখারিনী           জনম দুখিনী
           গলেতে পড়িনু ফাঁসি।
আমার জীবনে             একি অঘটনে
            হয়েছি চাঁদের দাসী-

             বিশাখদত্ত জানে!!

____________
প্রথমদিকে ৮+৬ পর্বভাগে "চতুর্দশপদী" ধাঁচে লেখা। কিন্তু চতুর্দশপদী নয়। 'হা নিশানাথ' আর 'হা নিশিথেশ' এর মাঝখানে ১২ লাইন। বিন্যাস- কখকখগঘগঘ, চছছচ। শেক্সপীয়র আর পেত্রার্কের ককটেল! কাজটা অবশ্য মধুদত্ত আগেই সেরেছিলেন। আমি শুধু শেষে একটু "ত্রিপদী" জুড়ে দিয়ে চেষ্টা করলাম নতুন স্বাদ আনা যায় কি না!
এটাকে একটা ম্যাচুর মিক্সিং বলতেই পারি। তাই না? 

২৪১৬
http://www.bangla-kobita.com/vishakhdutta1988/post20160402092421/



সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

একদিন বাজবে শানাই



এই যে মেঘমালা এত জল ঢালে
সে কি কোন বিহ্বল বন্যায় মহীয়ান?
যেখানে মানুষের ডোবা-ভাসা,
মানুষের ডোবা-ভাসা পায়না কখনো স্থান
কোন কবিতার নৌকা যেখানে ভেড়ে না কোনদিন?
মহাকাশ সমান অপেক্ষা চোখে কারো
নিরুত্তর নমিত মুখের ছবি, বাগেশ্রীর ছুটতান-
দ্রুতলয়ে যাকে তাড়িয়ে নেয় মধ্যরাতের বুকে
সে কি জানে কি পিয়াসে বিষপান
সুখকর লাগে? অথবা লাগে শ্রেয়তম বিকল্প
কল্পনাকে প্রশমিত করাতে যে গেছে দুর্বিনীত হয়ে?
ভাদ্রের মেঘ জানে না ভরা-জোয়ারের মানে
জানে না অপথ্যালমোলোজি, জানে না নেত্রপাত
কার নেত্রে কত মানে ধরে!
জানে না সে কত দূরাগ্রহ কত দূর্নীরিক্ষ্য
আকাশস্থা নারীর ঠোঁটে সুধা হয়ে ক্ষরে
কত পুরুষের প্রবঞ্চিত বাঞ্ছার সাথে- কার কত অভিমান,
কতটুকু চুলের ছায়া, কতটুকু গায়ের ঘ্রাণ
বিলুপ্ত হতে থাকে, ব্যবধান গড়ে!
সে তো এসবের জানে না কিছুই!

তবু আজ তাকে আমি স্বাগত জানাই,
এখন যদিও জানি বিরহের দিন,
জানি তবু একদিন বাজবে শানাই!




রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

"কালো সূর্য্যের কালো জ্যোছনার কালো বন্যায়"

পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি স্থানে পূজা মন্ডপে ভাঙচুরের খবর পেয়েছিলাম গতবছর। পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের কি অবস্থা সেটার একটা চালচিত্র দেখাচ্ছি। লিংক- http://indiafacts.org/seven-years-of-hindu-persecution-in-…/ এদিকে তৃণমূলী সরকার গতবছর মহরম উপলক্ষে দুর্গা পূজার বিসর্জন স্থগিত করে দিয়েছিল- http://www.newsmen.in/…/no-immersion-of-durga-idols-in-kol…/। বাংলাদেশে হিন্দুদের দশার সাথে তাদের ফারাকটা কোথায়? বাংলাদেশে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না এসব! এখানে মাইকে এনাউন্স করে হিন্দুদের ওপর স্যাবোটেজ ঘটানোর আহবান করা হয়। এটা রিসেন্ট কিছু বছরে কালচারে পরিণত হয়েছে। সব সরকার প্রধান তো মমতা ব্যানার্জি নয়! এখানে তো মন্দিরে-মণ্ডপে হামলা নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে যাচ্ছে। এবং তাদের দাবী ইন্ডিয়াতেও এরকম হয়! (তাই বাংলাদেশে হওয়া বাঞ্ছনীয়!
"টু নেশন থিওরি" (https://en.wikipedia.org/wiki/Two-nation_theory) এর ভিত্তিতে পাকিস্তানের দাবী শুরু। দাবী মানতেই হবে। দাবী না মানলে কি হতে পারে? ১৯৪৬ সালের "ডাইরেক্ট একশন ডে", "দ্য গ্রেট কোলকাতা কিলিং" এর কথা মনে আছে? পড়ে ফেলুন- https://en.wikipedia.org/wiki/Direct_Action_Day। বোঝা গেল একটা পাকিস্তান আসলেই খুব দরকারী! গান্ধী বাপু তখনো শান্তি চান। শান্তির বার্তা নিয়ে কোলকাতা এসে ব্যর্থ তিনি। নোয়াখালি ছুটে গেলেন। ওখানে কি? ২৯ আগস্ট, ১৯৪৬। ঈদের দিন- নির্ধারিত হয়ে যায় পূর্ববঙ্গে হিন্দুদের অস্তিত্ব কি হতে যাচ্ছে। পড়ুন- https://bn.wikipedia.org/…/%E0%A6%A8%E0%A7%8B%E0%A6%AF%E0%A…। গান্ধী নোয়াখালীতে শুধু চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন তা নয়, রীতিমত হুমকি ধামকির ভেতর ছিলেন। মুসলিম লীগের সংস্কৃতি ছড়িয়ে গেল পাঞ্জাব অবদি। সেই ট্রাজেডির কথা তো জানেন। তাই না? কি হয়েছিল অমৃতসরে ১৯৪৭ সনে-http://www.sikhiwiki.org/inde…/The_Battle_for_Amritsar,_1947। পাকিস্তানের সৃষ্টি এক অনিবার্য্য প্রয়োজন। এসব সত্যকে ধামাচাপা দেয়া তো যায় না। কিন্তু ভিন্নসুরে বোল পালটে তো গাওয়া যায়। এই কাজটা করতে পেরেছে ভারতের চীনপন্থী বামেরা! সেক্যুলারিজমের নামে, মেকি মানবতাবাদের নামে সত্যকে পালটে দিয়ে উদারতার সঙ- তারা ভালই ধরেছে। পাকিস্তান যে তত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্টি হয়েছিল তা কি রকম ফলপ্রসূ ছিল? অনেকেই বলেন এই হিন্দু-মুস্লিম বিভাজন বৃটিশের কায়দা! এটা একটা নির্লজ্জ দোষারোপ ছাড়া কিছু নয়! আপাতত একটা ডক্যুমেন্টরি দেখুন- "পার্টিশনঃ দ্য ডে ইন্ডিয়া বার্ণড"। এটা বিবিসির- https://youtu.be/jGiTaQ60Je0। পাকিস্তানের দাবীতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়ে গেল। আর পাকিস্তান সৃষ্টির পর সে দায় বৃটিশের? মশকরা? পাকিস্তান সৃষ্টি আটকানো যেত যদি গান্ধী-নেহেরু গংরা কুশলী হতেন, ফুলের মত বিশুদ্ধ হতেন। পাকিস্তান জন্মের এক বছর পরই জিন্না ইন্তেকাল ফরমান। কিন্তু ওই একবছরেই তিনি পুর্ব-পাকিস্তানের প্রতি তাঁর মনোভাব ঠারেঠোরে স্পষ্ট করেই জান। পেশোয়ার, মূলতানের পাকিস্তানী আর বাংলাদেশের পাকিস্তানীদের মধ্যে কি পার্থক্য- সেটা বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েই বুঝিয়ে দিতে পেরেছে। কিন্তু সেই পুরাতন মুসলিম লীগের সংস্কৃতিকে কতটা ভোলা সম্ভব? শেখ মুজিবর রহমান অসাম্প্রদায়িক ছিলেন। কিন্তু তাঁর সময়েই "কালো সূর্য্যের কালো জ্যোছনার কালো বন্যায়" ভেসে গেলেন তরুন কবি দাউদ হায়দার- https://en.wikipedia.org/wiki/Daud_Haider। বাংলাদেশে সংস্কৃতির মুক্ত বিকাশে কালো হাত নেমে এল তো ১৯৭২ এই। ৭৪ এর নির্বাচন নিয়েও আছে অনেক কথা! অনেক কথা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। হুমায়ুন আজাদ লিখেছিলেন- 'একবার মুক্তিযোদ্ধা মানে বারবার মুক্তিযোদ্ধা নয়। একবার রাজাকার মানে বারবার রাজাকার!' মুজিবের হত্যা কথাটাকে প্রমাণ করে। জামায়ত ঘেঁষা মুক্তিযোদ্ধারা কথাটা প্রমাণ এখনো করে। আর রাজাকাররা মসনদের আশেপাশে থাকলেও কি হতে পারে- তা কি নতুন করে বলতে হবে?
প্রসঙ্গ এসব নিয়ে নয়। প্রসঙ্গ হল ভারত বিভাজনের পর থেকে পাকিস্তানের দুই অংশে সংখ্যালঘুদের কি হয়েছিল আর আজও তারা কি হালে আছে? এবার ভারতের দিকে নজর দিই। ভারতের জবরদস্ত ধর্মীয় নেতা (পার্লামেন্ট মেম্বারও) আসাদুদ্দিন কোরেশী পাকিস্তানে ভারতের মুসলমাদের অবস্থা প্রসঙ্গে কি বলছেন শুনুন- https://youtu.be/1s_PxPxXITM ("আপ মুসলমানকা ফিকর করনা ছোড় দে হিন্দুস্থানকে"!)। ভারতীয়দের মধ্যে "হিন্দুস্তানী'' ইজমটাই বড়! ওরা ধর্মকে আগে প্রেজেন্ট করে না। কি হিন্দু, কি মুসলিম- ওরা আগে ইন্ডিয়ান! এই ইজমটা কি পাকিস্তানের আছে? না এই ইজম বাংলাদেশ ধরে রাখতে পেরেছে মুজিবের পতনের পর থেকে? আসাদুদ্দিন কোরেশীর বক্তব্য শুনুন অন্তত- দেশপ্রেম শেখা যাবে। ইন্ডিয়াতে কিরকম হয় সেটা শুনুন। কিছু পাকিস্তানী প্রশ্নের কড়া জবাব পেয়ে যাবেন। তখন অনেকের ছুপা পাকিস্তানী মানসিকতারও পরিবর্তন হয়ত আসতে পারে। মুসলিম লীগের মানসিকতাও কাটতে পারে! একটা ব্যাপার বলে রাখি- দেশভাগের সময়ও ভারতের সব মুসলিম মুসলিম লীগের পক্ষে যায় নি। তারা অনুভব করেছিল- এই বিভাজনটা কত ভয়াল হতে পারে। মুসলিম লীগের শেখানো মানসিকতাটাই আজও পুঁজি করে চলে বাংলাদেশের একটা বিরাট অংশ! এবং এটা ইতিহাসের নিয়ম অনুযায়ী অস্বীকারও করা যায় না! আজও যখন কেউ থ্রেট দিয়ে বলে "বাংলাদেশ মালাউনের দেশ না, তোরা ইন্ডিয়া চলে যা" তখন আমি ১৯৪৭কেই দেখি। সে তো মিথ্যে বলছে না। এই নীতি দিয়েই তো দেশভাগ হয়েছিল। কিন্তু এই নীতি তো কোন কাজে আসেনি আমাদের জন্য। পাকিস্তান তো আজ প্রায় সংখ্যালঘুশূণ্য বলা চলে! বাংলাদেশ সে পথে এগুচ্ছে। ভারত এই 'দ্বিজাতিতত্ত্ব' ভিত্তিক রাষ্ট্র নয়। ভারত হিন্দুরাষ্ট্রও নয়। ভারত হিন্দুরাষ্ট্র হতেও চায় নি। কিন্তু পাকিস্তান? কিন্তু মুজিব পরবর্তী বাংলাদেশ? কোথায় গণতন্ত্র? কোথায় সেক্যুলারিজম? কোথায় মানুষের সম্মান? আমরা এখনো "কালো সূর্য্যের কালো জ্যোছনার কালো বন্যায় ভেসে যাই!"https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=1658148757846470&id=100009540843798

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...