শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

মরার চিন্তা ও যা-তা কবিতা

আমার মৃত্যু কিভাবে হবে জানি না,
জানা প্রয়োজন, জানলে ভালই হত।
যদি অপঘাতে না মরি,
যদি না মরি নির্মম প্রাণঘাতী রোগে,
পথ্যবিহীন, স্বজন বন্ধু হতে অগুনতি যোজন দুরে,
দীর্ঘদিন বার্ধক্যে ভুগে-
বল সেটা কি সুন্দর দেখায়?
সুশ্রী সুবল সুঠাম সুকুমারের গাল থুরথুরে,
নড়বড়ে দন্ত নিচয়, ইন্দ্রলুপ্ত, কদর্য কঙ্কাল
দেখে তুমি কি লালচে লজ্জায়
কোনদিন পড়বে আর প্রেমে?
এর চেয়ে কি ভাল নয়- যদি আজকেই চলে যাই,
আজকের এই রাতে গভীর নিদ্রায়
ভোর না হবার দেশে নিজের মতন?
তবে কি এ বিশ্ব যাবে থেমে
কক্ষপথচ্যুত হয়ে থামাবে ঘুর্ণন?

জানো- একদিন আমি ভাবতাম,
আমার মৃত মুখে ঝলকাবে প্রশান্তির তৃপ্ত হাসি
বুকের ওপরে দুটো হাত নিস্পন্দ, নির্বাণ-
পাব, পাব পরিত্রাণ সর্বকলুষ ক্লেশ শেষে
বাজিয়ে প্রেমের বাঁশী, করব প্রস্থান,
আর তোমরা কেঁদে কেঁদে আকুল হবে,
আমার বিজয়ী বেশে
মেখে দেবে অশ্রু সম্মান!

কিন্তু যত দিন যায় তত ভাবি
আমার মৃত্যু হবে অত্যন্ত সাধারণ পতঙ্গের মত,
অথবা মন্ডুকের মত সাপের গহ্বরে,
অথবা অমানুষের মত পথে পথে ঘুরে
অচিকিৎস্য হয়ে বক্ষ-জরায়, জঠরে অনল,
পৌর সারমেয়র প্রায়, লোলজিহ্বা, রোদে পুড়ে
তছনছ হয়ে, অথবা বেসামাল ট্রাকের তলায়
জনসমক্ষে, প্রকাশ্যে দিনদুপুরে
শোকবিলাপ ছাড়া, শহুরে রাস্তায়
আচমকা, যে কোনদিন!

যত ভাবি তত বিমর্ষ হই
তত মৃত্যুকে চাই প্রতিদিন কাছে
তত বেশি তোমাকে আমার চাই,
খুব বেশি প্রয়োজনও আছে;
যত চাই তত বুঝি, আমি তার যোগ্য যে নই!

১৬৮১৬

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...