বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ক্ষুধাকে করেছি উপহাস



আমার শ্যামলে সুপক্ক হলুদাভ সোনার ক্ষেত
বারোমাসে চঞ্চলা সরিতার ধারে বটছায়া,
চৌদিকে বিভিন্ন বিপ্লবের পঙ্গপাল ওড়ে, শুভাশুভ সংকেত পাই!
মতবাদের প্রাচুর্য্যে ভরা বাজার-ঘাট, নানা ধূয়া-
ধূমায়িত করে রাখে মসজিদ-মণ্ডপ, মানুষেরা কাষ্ঠবৎ;
শ্বাসকষ্ট প্রমাণ করে তারা তবুও জীবিত! কচ্ছপ গতির-
সাথে প্রগতিশীলতা বাড়ে, প্রগতিশীলতা বাড়ে শীলতা ছাড়াই!

আমি কবে থেকে একান্ত অধীর, স্থবির ও বধির!

আমার বাড়ির ছাদের পরিমাপে আকাশ কেনা আছে,
সংবিধিবদ্ধ প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্র দিয়েছিল দলিলে স্বাক্ষর,
আইনের বইয়ের ভাঁজে বুদ্ধিদীপ্ত কিছু পোকামাকড়
এখন সেসবের সংরক্ষণ করে অনেক যত্নে, আর তুলসী গাছে
নারায়ণের অভিশাপে মরণ লেগে গেছে উঠান মঞ্চে,
সে খুনের বিচার নেই, তুলসী নিরক্ষর!

সোনা বৌ শাঁখ তো বাজায় না, সকাল সন্ধ্যে অন্ধ দেউল-
পাখি ও ঝিঁজির ডাকে পুলকিত হয়ে যায়, আহা! সেই ভালো!
এর বেশী প্রাপ্ত হলে শাঁখের করাত জোটে, উভমুখে সংকট সংকুল!
শোনো 'কর্মণ্যেবাধিকারস্তে', ফলাসক্ত হয়ে গেছি, তাই ভাঙাকুলো-
হয়ে ভেতরের উনুনটার পাশে বসে উষ্ণতা চাই!

আমার পূর্বজ মনুষ্যকূলের ছিল যত অলিখিত অধিকার
সব এখন নথিপত্রে নাক খত দিয়ে আছে ঘাড় নিচু করে!
আমার হেঁসেলে দেখি বাড়ন্ত সুখ, নির্দ্বন্দ্ব নির্বিকার
অন্ত্রের সাথে গণতন্ত্র অথবা আর কি তন্ত্র মেলে যুক্তি বিচারে
কবে থেকে আমি ক্ষুধাকে করেছি উপহাস!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...