এই যে মেঘমালা এত জল ঢালে
সে কি কোন বিহ্বল বন্যায় মহীয়ান?
যেখানে মানুষের ডোবা-ভাসা,
মানুষের ডোবা-ভাসা পায়না কখনো স্থান
কোন কবিতার নৌকা যেখানে ভেড়ে না কোনদিন?
মহাকাশ সমান অপেক্ষা চোখে কারো
নিরুত্তর নমিত মুখের ছবি, বাগেশ্রীর ছুটতান-
দ্রুতলয়ে যাকে তাড়িয়ে নেয় মধ্যরাতের বুকে
সে কি জানে কি পিয়াসে বিষপান
সুখকর লাগে? অথবা লাগে শ্রেয়তম বিকল্প
কল্পনাকে প্রশমিত করাতে যে গেছে দুর্বিনীত হয়ে?
ভাদ্রের মেঘ জানে না ভরা-জোয়ারের মানে
জানে না অপথ্যালমোলোজি, জানে না নেত্রপাত
কার নেত্রে কত মানে ধরে!
জানে না সে কত দূরাগ্রহ কত দূর্নীরিক্ষ্য
আকাশস্থা নারীর ঠোঁটে সুধা হয়ে ক্ষরে
কত পুরুষের প্রবঞ্চিত বাঞ্ছার সাথে- কার কত
অভিমান,
কতটুকু চুলের ছায়া, কতটুকু গায়ের ঘ্রাণ
বিলুপ্ত হতে থাকে, ব্যবধান গড়ে!
সে তো এসবের জানে না কিছুই!
তবু আজ তাকে আমি স্বাগত জানাই,
এখন যদিও জানি বিরহের দিন,
জানি তবু একদিন বাজবে শানাই!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন