শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ফ্রয়েড ও ফাহমিদা

ফাহমিদা, ফ্রয়েডকে দেখি ইদানীং আমার ভেতরে।
তুমিহীন জীবনে ধরেছিলাম কৌমার্যের ব্রত
নিজেকে ভীষ্ম ভেবে নিঃস্ব হৃদয় নিয়ে
তপঃক্লিষ্ট কায়ে তোমাকে দেখি আফ্রোদিতির মত
দাঁড়িয়ে আছ বিগতবসনা হয়ে স্বপ্নপ্রদোষে!
ফ্রয়েডকে দেখি ইদানীং হাউমাউ করে কাঁদে।
আর কত? আর কত? কপট বুদ্ধ সেজে বোধিদ্রুমের
নিচে অসহায় রাত্রি যাপন? মারের তিন কন্যা মিলে
গাত্রভূষণ খুলে- মন্ত্রের সাধন অথবা শরীরপাতন!

ভেবেছি ধ্যানমগ্ন হয়ে দ্বিতীয়টা শ্রেয়
চোখ মেলে দেখি- ফাহমিদা তুমি সামনে দাঁড়িয়ে
কামনার বিষে সব করেছ দহন!

বল আমি কি শরশয্যা নেব শিখন্ডীর শাপে?
অক্ষয় তূণের তীর গেঁথে নেব আমার শরীরে?
নাকি অর্থহীন শপথ তুলে কুলুঙ্গির কোনে
আনব জোয়ার টেনে বুকের প্রাচীরে?

ফাহমিদা, ফাহমিদা, আমার আদিম ক্ষুধা
স্যালিভাসিক্ত হয়ে পথে পথে কাঁদে,
হৃদয়বাসিনী সে রূপের তরঙ্গ তুলে পুকুরের ঘাটে
একা একা অবেলায় খোলা চুল বাঁধে।

২৪৮১৫

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...