বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

বিশাখদত্ত জানে

হা নিশানাথ!

এতক্ষণে উদিলে কি নভস্থল-পরি
তমোময়ী যামিনীর বিরহের কূলে
আসিলে কি অকস্মাৎ মহাবিশ্ব ঘুরি!
অপেক্ষার অন্ত্য করি প্রণয়ের জালে
বাঁধিবারে কুমুদিনী আপনার ডোরে
আলোক বিকীর্ণ করি কুসুমকোরকে,
জগত ডুবিয়া গেলে আজি ঘুমঘোরে
নামিয়া আসিবে তুমি তটিনীর বাঁকে।

জ্যোৎস্না প্রমত্ত করি রচিবে বাসর
অনন্ত অনঙ্গ আসি ভরি দিবে সুধা
অক্লান্ত পিপাসা আর অবারিত ক্ষুধা
অদম্য আদিম বলে গ্রাসিবে অন্তর!

হা নিশিথেশ!

একি দুরাশায়            ঘোর বরিষার
         তোমারে সঁপেছি প্রাণ।
তুমি তো গগনে           আঁধার লগনে
          একাকী গাহিছ গান।
আমি ভিখারিনী           জনম দুখিনী
           গলেতে পড়িনু ফাঁসি।
আমার জীবনে             একি অঘটনে
            হয়েছি চাঁদের দাসী-

             বিশাখদত্ত জানে!!

____________
প্রথমদিকে ৮+৬ পর্বভাগে "চতুর্দশপদী" ধাঁচে লেখা। কিন্তু চতুর্দশপদী নয়। 'হা নিশানাথ' আর 'হা নিশিথেশ' এর মাঝখানে ১২ লাইন। বিন্যাস- কখকখগঘগঘ, চছছচ। শেক্সপীয়র আর পেত্রার্কের ককটেল! কাজটা অবশ্য মধুদত্ত আগেই সেরেছিলেন। আমি শুধু শেষে একটু "ত্রিপদী" জুড়ে দিয়ে চেষ্টা করলাম নতুন স্বাদ আনা যায় কি না!
এটাকে একটা ম্যাচুর মিক্সিং বলতেই পারি। তাই না? 

২৪১৬
http://www.bangla-kobita.com/vishakhdutta1988/post20160402092421/



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...