রবিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৮

এত ভালবাসো কেন?

আমাকে এত ভালবাস কেন?
আমি তো মানুষ! 
মরণোন্মুখ মনুষ্যত্ব নিয়ে জীবিত ছিলাম!
এত ভাল কেন বাস? 
এখন জীবনকে মনে হয় মূল্যবান কিছু,
ইচ্ছে হয় আরও বাঁচি, বাঁচি আরও দু'শো-
বছর চোখে চোখ রেখে!

আকাশকে মনে হয় আগুন, আগুন!
আগুনকে মনে হয় ধানমন্ডি লেক!
মনে হয় প্রথম পরশ, দু'হাতে দু'হাত রেখে
প্রণয়ের মন্ত্রাভিষেক
জ্বলে ওঠে চিন্তাগ্রস্ত রাতে তন্দ্রা অতলে!

এত ভাল কেন বাস বল!

শিশুকালে শেখা সব নীতির শিক্ষা, সব ভুলভালে ভরা
বমি আসে, কেঁদেকেটে অসুস্থ, চোখ ওঠে ফোলে,
চরিত্র নাকি সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ!
এত বড় ভন্ড কথায় আমার প্রবল আস্থা ছিল একদিন
আজ পকেটে হাত দিলে বুঝি, ওয়ালেটের গভীরে গিয়ে বুঝি
আমি কতটা নির্বোধ হলে এসবে বিশ্বাস রাখি!

এত কেন ভালবাস?
আমি তো মানুষ।
জন্মে জন্মে দাস হতে রাজি।
এ জন্ম বিলিয়ে দিতে পারি হাসির শব্দ গেঁথে
আমার হৃদয়ে নিভৃতে। প্রতিটি নিশ্বাস বাজি-
রাখতে পারি কবিতা লিখে।
এর বেশী কি করতে পারি বল?

এত ভালবাসা পেলে অসহায় লাগে!
উঠে দাঁড়াতে গিয়ে দেখি পঙ্গুত্বের গ্রাস ধরেছে আমায়
বহু বহু আগে। তবু যে কি অজানিত প্রেরণায় দু'হাত বাড়াই
স্নায়ুকলা কেঁপে ওঠে, ঝংকার জাগে-
রক্তকণায়, তার কোন ব্যাখ্যা যে নেই!

এ পৃথিবী কি প্রেমের মূল্য দেবে?
অথবা আমি কি দেব তোমায় পূজার বেদী ছাড়া?
উচ্ছন্নে যাওয়া ছন্নছাড়ার কাছে কিই বা পাবে?
শুধু একগাদা বর্জ্যকবিতা! যে মানুষ বাস্তুহারা
সে শুধুই প্রেমিক! এর বেশি কিছু নয়!

এত ভালবাস কেন?
খুব ভয় হয়। 
আতঙ্কে ঘুম নেই আজ ক'টা দিন
ক'টা দিন জগতের সবটা সময়
আত্মহন্ত্রী হয়ে গেছে!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...