রবিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৮

গ্রামান্তরীণ

সাত পুরুষের পদ্মপুকুর কচুরিপানায় ভাসে
স্বাক্ষী হয়ে কৃষ্ণচূড়া খুন রাঙিয়ে হাসে।
ছায়ার নিচে পুরাণ বাড়ি, ঘাসরাজত্ব উঠান
দূর্বাদলে মন্ত্রমুগ্ধ- বিমূর্তপ্রায় শ্মশান!
বয়োবৃদ্ধ তেঁতুলগাছে লতায় মাখামাখি
গন্ধরাজের শূন্যবাগান, ডাকছে দোয়েল পাখি। 
সাত দুনিয়ার আঁধার দেউল সন্ধ্যারতির সাথে
ঘুমিয়ে পড়ে শান্ত হয়ে- কাঁসর ঘন্টাঘাতে।
দখিনপাড়ার উদোল বামুন চালের পুটলি বেঁধে
বংশে কারো প্রদীপ জ্বালে, চমকে ওঠে কেঁদে।
রাজা গেল, রাজ্য গেল, ত্যাজ্য করে মহল
পঙ্গপালে গিলছে এখন খাজনাবিহীন ফসল!
পূবের ঘাঁটায় জঙ্গল আজ, সর্পরাজের বাসা
বরকন্দাজ আর চলে না, সাপের যাওয়া আসা।
বড়ই গাছে দামাল কিশোর ঢিল ছোঁড়ে না আর
মানুষ গেছে নগরদেশে, গ্রামগুলো ছারখার!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...