রবিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৮

নালায়েক নামা

মাথার তালুতে খুন চড়ে যায় করতে পারিনা কন্ট্রোল
চোরা কয় ‘শোন ধর্মের বাণী’ ধর্ম বাজায় ডামাডোল!
সাধু সন্তেরা ডিম পাড়ে বসে ভক্তেরা দেয় তা,
সেই ডিম আর ফাটে না কখনো যত মারো লাথি ঘা!
মুখোশ খুলতে যতবার যাই, দেখে নিই আমি গণরোষ
ভন্ডবাবার মুরীদ অনেক, মুরীদেরা বলে ‘খামোশ’!
আবাল্য আমি জিভকাটা আছি, বেয়াদব নামে খ্যাতি
আছে দুনিয়াভর্তি যত বেয়াদব সকলে আমার জ্ঞাতি!
ছোটমুখে আমি বড় কথা বলি, বড়জনে দেয় থাপ্পড়
পঞ্চাঙ্গুলি গালে বসে পড়ে, গলা পায় আরো বেশী জোর!
কাউকে একটু সমীহ করিনা, কই সীমাহীন পাকা কথা
সাদা চোখে দেখি রোজ রাস্তায় বেশ্যারা সাজে সীতা!
গনতান্ত্রিক ভন্ড দলেরা একে অন্যেরে পাড়ে গালাগাল
সাধারণ লোক গুলি খেয়ে মরে, নেতা-নেত্রীরা মালামাল!
উচ্চকোটির মহাপুরুষ আর আছে নিম্নশ্রেণীর কত গুন্ডা
সবখানে দেখি ভন্ডেরা আছে উড়িয়ে গেরুয়া ঝান্ডা!
আমার কথাকে কেউ মানেনা তো, লোকবল আছে কম
সাপোর্টার পেলে জীবনপ্রদাতা নাম পেয়ে যায় যম!
ধর্ম আমার বাজে কথা বলা, ধার্মিক করে দুর ছাই
পূজা অর্চনা মাথায় তুলেছি, ঘরে বসে একা বিড়ি খাই!
আজ সারাদেশ বার্ন ইউনিট, আজ বার্ন ইউনিট অন্তর
রাস্তায় পোড়ে সস্তার গাড়ি, জনপদে জ্বলে বাড়িঘর!
চোখ থেকে কবে ঘুম উড়ে গেছে, জেগে জেগে দেখি স্বপ্ন
আমার মতন নালায়েক গুলো- থাকে স্বপ্ন দেখায় মগ্ন।
নেই কোন কাজ, নেই ভয় লাজ, সারাদিন লিখি কবিতা
পঞ্চশরের বান খেয়ে প্রাণ কবিতারে ডাকে দয়িতা!
হিংসায় মরে হিংসুটে জাত, বলে ‘ছেলেখান অতি খচ্চর’
পদবী আমার বাড়তেই থাকে বৎসর পর বৎসর।
দাঁতে দাঁত চেপে চুপ করে থাকি, ধমনীতে ধায় দাবানল
বেকুবের মত অনেক কেঁদেছি, বৃথা গেছে কত আঁখিজল।
তাই আমি আজ মশাল ধরেছি আঁধারের রাতে মরবার
নষ্টের দেশে শিষ্ট সেজেছি, নিজেকে করেছি ছারখার!

____________________________
২৫ জানুয়ারি ২০১৫, ঢাকা।
ফেসবুক ডট কম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...