বুধবার হাট থেকে দু’কেজি কাঁকড়া কিনে
আধকেজি শেষ! জঠরাগ্নির দেশে শুনি কাঁকড়ার ডাক!
সংবাদপত্রে দেখি সব্বাই ভাল আছে, যাক যাক বেশ ভাল,
যে ক’দিন বেঁচে আছি এভাবেই যাক!
আরবের বাদশা নাকি মেয়ের বিয়েতে দেয় সোনার কমোড!
শাহী উপহার বটে! শাহজাদী চিরদিন হেগে সুখে থাক!
আমার জন্য আছে পুকুরের পাড়, ঝিঁঝিঁ ডাকা সন্ধ্যায়
খোলা মলদ্বার- গরীবের লজ্জা কি!
তুর্কী সাগরপাড়ে পরে থাক সিরিয়ান শিশু!
ফ্যালফ্যাল চোখে যীশু দু’হাত বাড়িয়ে বলে-
‘আমেরিকা ইওরোপ নিরবে ঘুমাক, তুই কোলে আয়।
মানুষ ভালই আছে দেশে দেশে বোমা ছুঁড়ে
যে করেই হোক আটকাতে হবেই হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!
একি শান্তির বার্তা শুনি! বাজে জয়ঢাক!
এ ওকে টেনে ধরে জাতিসংঘের ঘরে
মানুষের অভিনয়ে- কাঁকড়ার ঝাঁক!
আমিও বন্দী আছি বড় গীর্জায়,
এলেলুইয়া কেঁদে মরে ভাঙা দরজায়।
অস্তাচলের পথে বালুকাবেলায় সব কাঁকড়ারা ফেরে
গীর্জার অর্গানে সকরুণ সুরে- বেজে ওঠে
মানবপুত্র তুই আয় ফিরে আয়!
মানবপুত্র যায় সমুদ্রে ভেসে
কাঁকড়ার নীতিমালা আঁধারে গোঙায়!’
সভ্যতা আমার মত ঝোপেঝাড়ে গিয়ে
বাঁ হাতের কাজটা সারে, ঘাটে হাত ধুয়ে-
শুঁকে দেখে, গন্ধ নেই! বাহ! বাহ! বেশ!
এভাবেই তো বেঁচে আছি,
এভাবেই বেঁচে আছে কাঁকড়ার দেশ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন