মধুমিতা,
আমি কাল কোলকাতা ছেড়ে যাব
জবাকুসুমসঙ্কাশ নবীন অরুণোদয়ে
তমোঘ্ন মন্ত্রে কাল দু’টুকরো হব!
জননীর সব স্নেহ ট্যাক্সিতে তুলে
উচ্চৈশ্রবার বেগে আমি যাব প্রচন্ড ব্যাথায়!
আমার পুষ্পক ডিঙি শিয়ালদা নদীর বুকে দুই পাখা মেলে,
শেকল ভাঙার স্রোতে নিজেকে ভাসায়;
আর বনগার লোকজ রথ শ্লথ হয়ে হাসে
সারথীর জিজ্ঞাসা- ‘দ্বিখন্ড মানব তুই যাবি কোন দেশে?’
মধুমিতা,
যশোহর অপেক্ষায় আছে হরিদাসপুরে;
যশোধরা কেঁদেছিলে সিদ্ধার্থের ত্যাগে নিশীর গভীরে
তেমনি করে কেউ যেন আছে সজল সলিলজ নলিনী নয়না
ম্রিয়মান হয়ে দেবেন্দ্রের রাজগৃহে কত দ্বিপ্রহরে
সে মনোময়ী আমাকেই ভাবে তার সব কাজ ভুলে
মাঝখানে কাঁটাতার- স্মৃতিগুলো ছিঁড়ে গেছে কাঁটার আঁচরে,
কিছু তার মিশে গেছে নগরের ধুলে!
আমি কাল অনেক সকালে উঠে
অবাঙমানসনেত্রগোচর চন্দ্রহাস ঘায়ে অবিবিক্ত
হাহারবে দু’টুকরো হব!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন