রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৮

উচ্ছন্নে গেছি

কবিতা দিয়ে যদি বাঁধা যেত ঘর
জন্ম জম্মান্তর তবে লিখেই যেতাম।
আবিষ্ট অষ্টপ্রহর হে অর্বাচীন ঈশ্বর
কিসের আরাধনায় গেল?
প্রবল বিরাগে ভর্তৃহরিও কবিতা লেখে
'বৈরাগ্যশতকম'- মাথামুণ্ডুহীন! অকাল ভর্তৃহীনার
ভগাঙ্কুর শেষে বাৎস্যায়নে খেলো।
আমি মাৎস্যন্যায় দেখি কি চমৎকার!

চেতনা পথচ্যুত শিশ্নরন্ধ্রপথে প্রদোষকালে,
উপগত কামনার উষ্মা উদগীরণে আমি সচকিত।
নিদ্রালসা উষসীর শাঁখা সিঁদুরের জালে
কি পরাক্রান্তা মায়া প্রণয়ে রুদ্ধ হল, পৌরুষ 
আর সব কাজ গেল ভুলে!

যদি এতসব ছাইপাশ লিখে গড়া যেত সংসার,
বুক যেত মুদ্রাস্ফীতিতে ফুলে দু'ইঞ্চি বেশী,
তবে যত খুশি লিখতাম গোটা রাতভর।
বোধ-অগম্য শব্দোপমা জুড়ে বাঙনিষ্পত্তি করানো যেত
আনকোরা পাঠকের, জুটে যেত হাততালি,
অথচ জুতোর সুখতলা আর বিড়ির সুখটান
অলক্ষ্যে চলে যায় বিলুপ্তির পথে। রাজপথে ধুলোবালি 
গিলে রৌদ্রপক্ব হয়ে মিলে যেত কবির খেতাব।
সংসার তবুও হত না।

তাই আর লিখি না গো,
একেবারে উচ্ছন্নে গেছি হৃদয়কে নিয়ে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আমায় তুমি করছ আড়াল

  আমায় তুমি করছ আড়াল আঁচল ছায়ে তোমার কোলে, আমি বড়ই অধীর বাইরে যেতে বড়ই  ব্যাকুল, দুষ্ট ছেলে! বিশ্বভুবন দিচ্ছে সাড়া- 'ও তুই চোখ খুলে...