এরপর আমরা অজস্র গদ্য লিখব
অথচ প্রত্যেকটিকে আমরা কবিতা বলব!
এরপর আমরা খর্বাকৃতির গদ্য লিখব, গাদাগাদা গদ্য
গদগদ আবেগের প্যাঁচপ্যাঁচে সব রসায়িত গদ্য;
অ-অনবদ্য, অনর্থবহ ও ভাবাবেগে প্রবল অপ্রতিরোধ্য
দুর্বোধ্য বাক্যবিন্যাসে আমরা একের পর এক গদ্য লিখব
ও সব গদ্যকেই আমরা কবিতা বলব!
ছন্দ ফন্দ ইত্যাদি অতি অনাবশ্যক দ্বন্দ্বকারী কথাবার্তার গায়ে
পানের পিক ছুড়ে, জীবনানন্দের জীবন জুড়ে প্রশস্তির বাতাস দিয়ে
আমরা পদানত হয়ে দিবারাত ভজনা করব তার-
'গুরু কি জিনিস করলে আবিষ্কার!'
গদ্যও কবিতা হয় বটে!
আমরা অনেক অনেক অসংস্কৃত অনুপ্রেরণা, অননুমেয় কবিত্ব, প্রজ্ঞা,
অপশিক্ষিত পরানুকরণজাত সাহিত্যরথী হয়ে অজস্র অজস্র কত কি লিখব
এবং আমরা আমাদের সব লেখাকেই কবিতা বলব!
আমাদের শব্দালংকার হবে নান্দনিক!
উপমা হবে ব্রেনের দু হোমোস্ফেয়ারে জটলা বাধাতে সক্ষম!
আমাদের এক একটি বাক্য হবে কেমিস্ট্রির বিক্রিয়ার মত জটিল, কুটিল,
পরীক্ষাগারে উল্টেপাল্টে গবেষণা করার মত তাৎপর্যপূর্ণ এবং-
মোটেই সহজবোধ্য কিছু নয়; সহজে যা বোঝা যায় সেটা অকবিতা! -
এ কথাটাই হবে সর্বজনবোধ্য।
এরপর সব জ্বলনোন্মুখ নতুন নতুন ভাবপ্রকাশে নিয়োজিত হব আমরা।
শতসহস্র, সহস্র সহস্র ও লক্ষসহস্র ধারায় আমাদের ভাবধারা পুরাতনের
জীর্ণগৃহ উৎপাটিত করে ত্বরান্বিত হবে গদ্যগঙ্গার স্রোতে দুর্নিবার বেগে-
বাংলার অলিন্দ নিলয়ে। গদ্য ঘনাবে ঘোর কবীন্দ্রের মেঘে
অকবিতার অনভিপ্রেত দেশে অনাশ্রিত হয়ে-
সারারাত জেগে
কোনদিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন