শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৮

অনিন্দিতা

আমি আর ও পথে যাব না,
ওরা আমাকে দেখে, ওরা আমাকে ডাকে,
‘কাছে এসো অনিন্দিতা। আইসক্রীম খাবে?’
আমার বমি আসে, আমি বোঝাব কাকে?

ওরা দেখে আমার বক্ষবন্ধনীর ফিতা, ফিতা দিয়ে মাপে
পাহাড়টা কত উঁচু, কতটা চাপ দিলে কতটা যাবে
অন্ধকারের দেশে ধ্বসে, গভীর থেকে গভীরতর হয়ে! 
ওরা দেখে আনুবীক্ষনিক চোখে আমার কটিদেশ
কটি থেকে আরও নিম্নে নামে। আমার লতানো বেণী
অথবা আদরের খোলাকেশ যা কিছু তোমার কাছে 
রমনীয়, কবিতার খনি; তার সবকিছু ওদের কাছে প্রলাপের মত
উদ্ভট লাগে! ওদের কাছে আমি আর আমার অন্তর্বাস ছাড়া
বাকী সব নিতান্ত অর্থহীন! তাই আমি ও পথে যাব না!
বাড়ি থেকে বেরুবো না, পঁচে যাব প্রতিদিন-
কুকুরের ন্যাতানো পুরুষাঙ্গ দেখে ঘেন্না জমে গেছে!
তুমি ফোন কোরো, কথা হবে!

অনিন্দিতা পর্দাফাঁস কোরো না,
টপ জিন্স পড়বে না, সব দেখা যায়, খুব বিশ্রী দেখায়!
সামাজিক সংলাপনামা, মিথ্যে নয়, হক কথা, সহমত;
উফ! নারীকে কি করতে হবে না হবে পুরুষ শেখায়!
আচ্ছা তোমরা এমন কেন? 
জানো? আমার দেহটা আজকাল আমাকে ভাবিয়ে তোলে,
নৈশ ঋতুস্রাব আমাকে কাঁদায়, আমার বুকটা ছুঁলে 
চলমান মেট্রোর গাদাগাদা ভীড়ে, আমার সম্পদ-
যেন লুটেপুটে খেয়ে নেবে উদ্যত শিশ্নধারী জন্তুর দল!
খোঁচা লাগে, সয়ে যাই, সয়ে যেতে হয় বলে-
অনিন্দিতা পর্দাফাঁস কোরো না যেন!

তুমি তো কবিতা লিখতে চাও সারাদিন ধরে
তোমার অনিন্দিতা ভরা রোদ্দুরে শকুনের খাদ্য হয়ে
ভেজা স্যালিভায় দাঁড়িয়ে থাক দু’কদম দুরে-
আচ্ছা... তুমি কবিতা লেখো!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...