শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৮

ওফিয়োফেগাস

মানুষকে মানুষ ভেবে কতটা পথ-
আমি একা একা চলেছি পৃথিবী!
বিশ্বাসকে পুতুল করে দিয়েছি পুতুলের বিয়ে
বেঁধেছি সংসার অকৃত্রিম প্রেমে। জীবনের দাবী-
নিকোটিনে ধুয়ে বলেছি ভাল আছি, সুখে আছি।
জল কেন? কাটছি পেঁয়াজ। কিলো সত্তর করে কিনেছি,
চড়া দামে। মনের আড়তে এখন কঠিন মঙ্গা!
দারিদ্র্যতা? সে তো কবির ঐশ্বর্য্য! এই ভেবে করেছি সংরক্ষণ-
মাথা ও মনের দাঙ্গা! একটু ভিজিয়ে নাও নিজেকে এবার।
আমি তো ভেজা-ই আছি, বুকের ভেতর ভেজা- রক্তক্ষরণ!
ওমা! একি কথা! ডাক্তার দেখাও না কেন?
বুকে স্টেথোস্কোপ দিয়ে যদি ধরা যেত হৃদয় দহন
তবে দেখাতাম। দেখাতাম পিঞ্জর খুলে কি আছে সেখানে।
পাখি সে অনেক আগেই মেলেছে পাখা, দিয়েছে উড়াল।
এখন আছে শতাব্দীর মুমুর্ষ বট, নির্জন নীড়, ঘাতক কুড়াল-
মারণোন্মুখ হয়ে হর্ষিত চরম আশায়!
মানুষকে মানুষ ভেবে কতটা সাপের মুখ চিনতে পারিনি
কার্বলিকের ঘ্রাণ- অকেজো বিনোদন ঘরের কোনায়
পড়ে থাকে মরা ইঁদুরের মত সাপের পূজায়!
বিষদন্ত উদগ্র উদ্গ্রীব মানুষেরা পুরোহিত, আমি হতবাক!
মানুষের সর্পত্ব আমাকে ভাবায়!

মানুষ মানুষ নয়, ওফিয়োফেগাস!
শঙ্খচূড় বলেছিল ফিসফিস করে 
মানুষ মানুষ নয়, ওর মত ওফিয়োফেগাস!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...