শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৮

লক্ষ্মণের কোপ (অমিত্রাক্ষর)

সুগ্রীবঃ

মিনতি শ্রীপদে তব সুমিত্রনন্দন!
প্রতিশ্রুতির কথা ভুলিব কেমনে?
চতুর বানরগণে পাঠাই্নু বনে
মাতা জানকীর তারা করে অন্বেষণ।
হে আর্য্য ক্রোধমূর্তি কর সংবরণ।।

লক্ষ্মণঃ

অসত্য কথন!
অকৃতজ্ঞ বানর জাত! সমুচিত শিক্ষা-
দিব তোরে! জানিবি তবে লক্ষ্মণের কোপ!
কি হেতু করিয়াছিলি কিষ্কিন্ধ্যার ভিক্ষা
যাইতে ব্যাগ্র যদি যমের সদনে ত্বরা!
এক্ষণে বধিব দিয়া খড়গের কোপ!
রাজ্যপাট লাভ করি সসাগরা ধরা-
ভাবিয়াছিস তোর প্রমোদ বিহার লাগি
রহিয়াছে মহাব্যস্ত নিজ কার্য্য ভুলি!
কি আশায় করিয়া হায় বানরে বিশ্বাস
পশ্চাৎ হইতে ভ্রাতা বধিয়াছে বালী
আপনার শিরে তুলি কলঙ্ক তিলক!

সুগ্রীবঃ

প্রভু দয়া হউক।
ক্ষমা কর দাশরথি নিজ মনোভ্রমে
বিলম্ব করিয়াছি প্রতিজ্ঞা পালনে।
বহুকাল ছিনু আর্য্য অরণ্যচারী
লভিয়া রাজার ভূষা, উদয়াস্ত নারী
সম্ভোগে মত্ত হই; লভি অকস্মাৎ।
ভ্রম মোর ভাঙিয়াছে করি প্রণিপাত
ক্ষমার্হ নাহি জানি, আমি দুরাচারী।

লক্ষ্মণঃ

রে দুষ্ট! ক্ষমা নাহি আছে তোর!
দন্ড দিতে আসিয়াছি! দন্ড মহা ঘোর!
শীঘ্র তোরে ভুলাইব ধরিত্রীর মায়া
অঙ্গদেরে বসাইব রাজ সিংহাসনে।
কোথা গেল বালীপত্নী তোর ভাতৃজায়া?
বল তারে এ বার্তা- ‘সুমিত্রানন্দনে
এক্ষণে তব পুত্রে দিবে রাজ্যভার!’
রাম আজ্ঞা অবহেলা করিলি পামর
যথাযোগ্য প্রতিফল দিব আমি তার!
_________________________

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...