জন্মের পর থেকে আমি শত্রু দেখছি,
জন্মের আগে নক্ষত্রেরা শত্রু ছিল জননীর মুগ্ধ আকাশে!
আমার তখন হাত-পা দু’জোড়া কিসের ভেতরে জানি না
শুধু জানি তারা ছিল অস্থির, তারা ছিল খুব ছোট!
ফাগুনের আঁধার ভোরে আমি এলাম-
এলাম দশমী তিথীর দুয়ার ভেঙে রাহুর গ্রাসে
সরাসরি শণির কোলে- আমার মাথার পাশে গ্রহের বলয়,
বিরাট ঘুর্ণন, অজাতশত্রু এল শত্রুর পাশে!
সেদিন আমি জ্যোতিষ মানতাম না
কারণ আমার মাথা ছিল ডারুইনের মত উদ্ভট!
মস্তিষ্কের অভ্যন্তর ছিল লাটিমের মত চক্রাবর্তে স্থির
অথচ কি প্রবল আবেগ ও উদ্বেগ! মৃত্তিকার ধুলো
উড়ে এল একদিন, বুদ্ধিবৃত্তি এল- কঠিন সংকট,
জননীর চোখে দেখি রক্তাপ্লুত নীর- টপটপ ঝরে!
তারপর থেকে আমি ক্রমাগত শত্রু দেখেছি,
দোলনা থেকে অভিকর্ষের ভয়, মাতৃঅঙ্ক ছেড়ে-
হামাগুড়ি দেবার দিনে শত্রু পেয়েছিলাম-
শক্ত চৌকাঠ- বিন্ধ্যাচলের বাধা!
তাও ডিঙিয়ে যেদিন উঠে দাঁড়ালাম সেদিনও শত্রু পেলাম
আমারই মত জন্ম নেয়া অসংখ্য মানব-মানবী দল
এখানে ওখানে সব- অবাক মন্ত্রে বাঁধা!
শত্রু আমার উপার্জনের বিষয় হল কালে
পরীক্ষার খাতায়, খেলার মাঠে, গানের আসরে
রূপসীর হরিণী নয়নে আর প্রতিভার ধুলোমাটি ঘেঁটে
আমি অনেক অনেক শত্রু পেয়েছি।
অনেক রাতেও দেখি শত্রুর চোখ জ্বলে-
ভ্যাম্পায়ারের মত, আমি ভয় পাই।
মিত্রের আশা আমি আর করতে পারিনা
বিভীষণদের ভাই ডেকে আমি স্বশিক্ষিত!
_____________________
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন