শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৮

প্রাককথন

লক্ষবছর আগে মানুষ যখন ছিল অন্ত্যজ প্রাণীর মত,
মানুষ ছিল সরীসৃপের সাথে, শ্বাপদসঙ্কুল বনে, নিবিড় গুহায়
কোনদিন জেগেছিল সমুদ্রে ঝড়, অথবা ভুকম্প নেমেছিল
ক্যানোপি ভেঙে, মানুষ ভেবেছিল- এ বুঝি ঈশ্বর!
তারাদের ছুটে চলা আকাশের গায়ে, বিদ্যুৎ দ্যুতি; ভয়ার্ত-
চোখের তারায় মানবের প্রথম জিজ্ঞাসা এল অতলান্ত ভয়ে
দারুন অন্ধকারে!- কি হল তারপর?

তারপর এগিয়ে গেল মানুষ প্রজাতি,
ডারুইনের বোরাকে চড়ে হোমো সেপিয়েন্স, আসুমদ্রহিমাচল
অ্যাডাম ও ইভের প্রেমে দেখেছিল আদি ব্যাভিচার, অহর্নিশ রতি!
স্বর্গের সুমিষ্ট ফল বদহজম হল, জন্মেছিল প্রথম আখ্যান,
জাতিতে জাতিতে গেল ছেয়ে। সেই কবে প্রস্তর যুগে-
মানুষ পাথরে কুপিয়ে মাটি ফলালো ফসল, 
ক্ষুধার অন্ন নিয়ে শ্রেণীশৃঙ্খল এল দুর্বার বেগে
ঝনঝন নড়ে ওঠে প্রগতির কল, 
মানুষের পেশী ওঠে জয়গান গেয়ে!

এরপর মানুষ ভাঙতে থাকে মানুষের ঘর
দুর্বল কেঁদে বলে- ‘কোথা হে ঈশ্বর?’

একদিন করোটির স্নায়ুরা গেল আকাশের পার
এনেছিল আসমানী কিতাব ঝোলা ভারী করে।
সেই থেকে ভয়েরা সুসংহত, অতি ক্ষুরধার,
ঈশ্বর হরর স্টোরি লেখে সারারাত ধরে!
কত শত গল্প আর বিধান আসে নিত্য নতুন
গ্যালিলিও কারাবাসে, জিয়োর্দানো জ্বলেই গেল-
যমের দুয়ারে! মানুষ পুড়িয়ে খেল মানুষের খুন!

অতঃপর?
অতঃপর আমরা জানি-
বিশ্বাসের অন্ধকার ভয়ংকর বড়
আদিম মানব আজও ভয়ে জড়সড়!

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...