প্রতিদিন একটা দাবী বুকের ভেতর তোলে মুষ্টিবদ্ধ হাত
আকাশের দিকে, রূপের মশাল জ্বলে, রিরংসু রাত;
শ্লোগানে মুখরিত ফুসফুসে ফুঁসে ওঠা অ্যালভিওলাই
জীবন যদিও ভাসে কচুরিপানার মত নিরলস স্রোতে
তবু দু কদম সাহসে বলি 'আমি তোমাকেই চাই!'
একান্ত অধিকারে গ্রীষ্মে ও শীতে- একই শয্যায়!
ভেবো না এত কথা নৈশকালীন নেশা, কবির খোয়াব,
অতন্দ্র বিরহীর বিভোল প্রলাপ সব ছেঁড়া ছেঁড়া কথা
মাথামুন্ডুহীন যত আবেগের বুনো চাষ, উদাসীর ভাব
আমাকে আশ্রয় করেছে ক্রমে, ঘনিয়েছে ব্যথা
রজনীর অন্ধকারে, জানালাকে খোলা পেয়ে লুটেরার বেশে
কবিতার বয়ান শেষে ক্রুর হাসি হেসে
এলো প্রেম, পোড়াতে আমায়!
কোঁকড়ানো কালো চুলে, খোঁপাজোড়া গাঁদাফুলে
অথবা লোহিতবসনে যদি লোচন লুব্ধ হয়,
তবে বল আমার কি দোষ তাতে? অথবা তোমার কি দায়?
অথবা কঠিন সংসারধর্মে কার কত ক্ষতি হয়?
তবু দেখি বহু হাত একসাথ, বহু বাধা বয়ে যায়
গড়ে তোলে আচমকা বিকট দেয়াল।
বুকের ভেতর দাবী গর্জে গর্জে কাঁদে প্রতিটি পাড়ায়,
মহল্লায় হল্লা করে, আসরে চমকে ওঠে বিধুর খেয়াল
জন্মান্তরের সাধ, অসাধ্য ভালবাসা আমাকে তাড়ায়
তোমার হাসির পিছে, পেলব বক্ষোজ সুখে, উন্মত্ত তাল
কেটে কেটে নটরাজ মহাক্লান্ত, কবিতা বিভোর!
তোমাকে ঘুমাতে হবে,
আমি আজ জেগে থাকি, রাত থেকে ভোর!
তোমার শরীরটা ভাল নেই প্রিয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন