আমার প্রতিটি সকাল ব্যার্থ তোমাকে ছাড়া।
প্রতিটি রৌদ্রস্নাত পার্থিব দ্বিপ্রহর, পরাঙ্মুখ বিকেলবেলা,
তমসার সায়ংকাল, অনঙ্গের ফুলশর,
পুরুষ-প্রকৃতি খেলা লাগে অসহ্য যন্ত্রণাময়।
তোমাকে ছাড়া ব্যার্থ প্রতিটি মূহুর্ত চরম দুঃসময়।
অলঙ্ঘ্য সাগরের ছিন্ন দ্বীপের মত ভেসে থাকে রাত্রি
চোখের কোটরে, স্বপ্নবৎ বিপন্ন প্রতিটি দীর্ঘশ্বাস
দুরাশার যাত্রী। লক্ষ কল্প দূরে অধীরা হয়ে তুমি কি
অপেক্ষায় আছো এক বুক বিরহ নিয়ে উদাসী বাতাসে?
আমার আকাশ গেছে ডুবে।
কবে কোন কৃষ্ণ কুন্তলার কুঞ্চিত মেঘে প্রণয়ের কৃষ্ণগহ্বর
হৃদয়কে করেছিল গ্রাস, প্রগাঢ় অনুভবে
অধরে অধর মিলে উষ্ণ নিশ্বাস নিভিয়েছিল নক্ষত্রালোক
প্রথম বাসরে প্রমথ দয়ায়। অতঃপর
ফিরেছিলাম মৃত অগ্নিপুরুষ হয়ে। বলেছিলে, 'প্রেম হোক
সুশীতল প্রশান্তা গঙ্গার মত!'
তা কি আর হল?
এখন প্রতিটি প্রহর কাটে বিরহাহত
দ্ব্যর্থহীন ব্যর্থতা অঙ্কুশ মারে অস্তিত্বের গায়ে,
হৃৎপিন্ড রক্তাক্ত, কিসের আঁচড়ে যেন বর্ধিষ্ণু ক্ষত
বসে গেছে স্পষ্ট হয়ে। বিনা আমন্ত্রণে!
জানি না এ কি ছিল আরাধিত বিধাতার মনে
কোন সে পাপের দণ্ড নেমে আসে বিরহের ক্ষণে
আমি তাতে বারে বারে ক্রুশবিদ্ধ হই!
(অসমাপ্ত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন