শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৬

মরণোত্তর প্রলোভন



আমি হয়ত একদিন অনেক রাস্তা আলো মাড়িয়ে মুখ-
থুবড়ে পড়ব গন্তব্যহীব সমুদ্রঝড়ের বেগে মৃত্যুর তটে।
পার্থিব প্রয়োজনে জোগানো সম্পদ, বক্ষের বড্ড অসুখ,
সমস্ত সমেত, অপরিমিত গরল-বমন করে, লক্ষ্মীর ঘটে-
শনির আখড়া গেড়ে, আমি হয়ত অবিস্মরণীয় হয়ে যাব;
এক নব-মহিমা্,‌ এক লহমায় আগুনের ফুলকি ফুঁড়ে
দুলকি চালে বিকট প্রকট আবেগায়িত ধূম্রশকট, অবোধ
অবাধ্য অবধ্য অনুচ্চারিত বেদনান্ধকার, আমি পাবো-
মানুষের অনেক বৃষ্টি-ফোঁটা, অনেক শ্রাবণ ঘনঘটা,
অনেক দুর্মূল্য প্রবোধ বাণী অকালমৃত প্রতিভার-
সেইদিন সেই নয়নমুদিত মাহেন্দ্রক্ষণে হে বিচিত্র ভূমি
নিয়ো গো নমস্কার এক হতভাগ্য সন্তানের
জন্ম যার অপাঙক্তেয় হতে অথচ তার-
মাথায় তোমার ধুলোর কণা
মণি হয়ে ছিল!

শেষ নিঃশ্বাস অবশিষ্ট থাকলে বল
কত বীর যোদ্ধারা পেতে পারে প্রাপ্য সম্মান?
তোমার এই নদীবিধৌত বাতাসের সুকথিত জনপদে
রাখালের মেঠো হাসি, ভাওয়াইয়া-ভাটি গান-
আবহমান পুরাণের মতন যেদিন লোকগাঁথা হবে
সেদিন তোমার নগরকে বোলো যেন শোকসভা করে!

জীবনে যা হয় না পাওয়া, মৃত্যুর পরে-
যেন তা আর কাউকে দেখায় না প্রলোভন!



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...