বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৬

চারুমিত্রা, দেশপ্রেম বোঝ?



চারুমিত্রা,

দেশের কথা মনে পড়লে আমার বাড়ির উঠানের কথা মনে পড়ে।
খুব বেশী মনে পড়ে আমার সাথে জড়ানো আমার বাড়ির আকাশ,
কলতলার পাশে পুঁইয়ের উঁচানো ডগা, বর্ষার জলকাদা, পৌষালী দুর্বা-ঘাস,
বারোমাসে তেরো পূজা, লক্ষ্মী পেঁচার চোখে-চোখ কোজাগরী রাতে;
এ সমস্ত কিছুর সাথে- আমার এ জন্মে হয়ে গেছে অবিচ্ছেদ্য প্রেম!

পতাকা অথবা জাতীয় সঙ্গীতে কি প্রেম হতে পারে কৃষকেরা জানে না আজও,
তারা জানে প্রেম আছে আউশের ক্ষেতে- কাস্তে-লাঙলে; প্রেম আছে দুধ দেয়া গাইটার সাথে।
মাঝিরা জানে না কোনদিন নদী ছাড়া কারো সাথে আর হয় কি না কোন টান,
শ্রমিকেরা জানতে অনাগ্রহী রাষ্ট্রের ইতিহাস; দেশ কি খাবার কিছু? দারিদ্র্যে সমাধান?
একবেলা শান্তিতে আধাপেট খেয়ে কয়েকটা ঘন্টা শান্তিতে ঘুম- এখানেই তৃপ্ত জীবন!
এখানেই সমস্ত রাজনীতি, সমস্ত লব্ধজ্ঞান- কার্যকরী হয়!

দেশের কথা ভাবলে আমার এই সব মানুষের কথা মনে পড়ে,
পতাকা-ফতাকা, নেশনাল এন্থেম; কতটা সীমান্ত আছে এক ফালি মাণচিত্রে,
কতটা বিচারক্ষমতা আছে মগজের প্রতি ছত্রে দেশকে বোঝার- অনেক গভীরে-
এত সব আমার সীমানা থেকে চিরদূরে থাক!
দেশ কি পতাকা নাকি? দেশ কি কেবলই অবরুদ্ধ কাঁটাতার মানুষকে ঘিরে?
দেশ কি মানুষের হয় অথবা মানুষ দেশের?- দেশ নয় মাটির ঘ্রাণ- চড়ুইয়ের ঝাঁক?
ঝিল-বিল, নদী-খাল, বাবুইয়ের বাসা? দেশ নয় চারুমিত্রা-
এই যে আমার তোমার সাথে ডোবা আর ভাসা- দেশান্তরী হয়ে?

যে দেশে পতাকা ও মানচিত্র চেনে না মানুষ
সে দেশে মানুষের কাছে কোনদিন চেয়ো না জবাব!
দেশপ্রেম সবারই আছে; দেশের যে প্রেম নেই- এটাই অভাব!  



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আমায় তুমি করছ আড়াল

  আমায় তুমি করছ আড়াল আঁচল ছায়ে তোমার কোলে, আমি বড়ই অধীর বাইরে যেতে বড়ই  ব্যাকুল, দুষ্ট ছেলে! বিশ্বভুবন দিচ্ছে সাড়া- 'ও তুই চোখ খুলে...