বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬

তোমাকে কোথায় রাখব?

একটা পাখিরও আছে একটা ছোট্ট সুখের নীড়
অথচ দেখো কবিরা আশ্রয়হীন, জাতে কাঙাল ভিখিরির মত।
তোমাকে আমি কোথায় রাখব?
একটা প্রজাপতিরও একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই আছে।
অথচ দেখো এই কবিদের শুধু মাথাটাই আছে
মাথা রাখার ঠাঁই যেটুকু আছে সেটা দুজনের জন্য অপ্রতুল।
তোমাকে আমি কোথায় রাখব?

তোমাকে আমি কোথায় রাখব?
এই কার্বন মনোক্সাইডের শ্বাস প্রশ্বাসের ভেতর
তোমার স্বচ্ছ ভালবাসা আমাকে কেবল বিকলাঙ্গ শিশুর
পিতৃত্ব দিতে পারে, দিতে পারে অনিশ্চয়তা সীমাহীন,
সীমাহীন শিশুর আর্তধ্বণি।

তোমাকে কোন আকাশের নিচে রাখব?
এখানে শুধু বৃষ্টি আর বৃষ্টি ফাল্গুন মাসেও আষাঢ়ের মত
তুমি বিরক্ত হয়ে যাবে, আমি ভিজে যাব রাতভর অশ্রুজলে
তারপর তুমি বাস্তব মেনে যাবে চলে আমাকে ফেলে একা
একহাঁটু কাদার মাঝে, আমার সন্তান সন্ততি সমেত,
আমার কবিতার খাতা ছিঁড়ে!

একটা ফুলেরও একটা বৃন্ত আছে আঁকড়ে ধরার,
অথচ এইসব বাউন্ডুলে কবিদের কবিতা ছাড়া কিছু নেই
যেটুকু আছে অল্প সামান্য তা দিয়ে না জোটে ভাত, না জোটে কাপড়।
তোমাকে আমি কি দিয়ে আঁকড়ে ধরব?
দুবেলা দুলাইন কবিতা গিলে যদি ভোলা যেত প্রকৃতির দায়
তবে তো ভালই হত, নজরুল চাকরী নিত না রুটির দোকানে।

তোমাকে আমি কোথায় রাখব?
অকৃত্রিম ছন্দ আর ভালবাসা দিয়ে যদি বাঁধা যেত সংসার
তবে কি সুকান্ত অকালে মরত, জীবনানন্দ পড়ত ট্রামের তলায়?
এত অদৃষ্টের ষড়যন্ত্রের দিনে তোমাকে আমি রাখব কোথায়?
কি করে বলব বল মৃত্যুর শাসন ভেঙে
তোমার জন্য আমি আরো কিছু বাঁচব!

২০-৬-১৫

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...