বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬

আপাতত আমি যা

আপাতত আমি ধ্বংসস্তূপ, এর চেয়ে বেশি কিছু নই।
এবং ভবিষ্যতেও আমি ধ্বংসস্তূপ। হঠাৎ বাঁচার ভয়-
ভর করে কখনো তোমাকে হাসতে দেখে মনের ভেতর।
আমি ভয় পাই খুব- আমি যে ধ্বংসস্তূপ!
অথচ অতীতে আমি ছিলাম জান্নাতের মত আরাধ্য কিছু
এখন আমি চলমান দোজখ, অতল কৃষ্ণগহবর-
অন্ধকার, অসংজ্ঞায়িত অলস অন্ধকার ছাড়া
আপাতত আমি কিছু নই।
আমি ভবিষ্যতেও অন্ধকার হব, ভবিষ্যতেও হব অবিনশ্বর অমানিশা,
আমার অতীত অন্ধকারে ঘুমায় ঈশ্বর।
তবুও মাঝে মাঝে জ্যোছনাকে ভালবাসি তোমাকে হাসতে দেখে
আর এই অপরাধ আমাকে দিয়েছে অকালে বক্ষ ব্যাধি
বিকল হবার পথে প্রেমের সূক্ষ্ম স্নায়ু, মৃত্যু অবধি-
পক্ষাঘাত জীর্ণ সুঠাম দু হাত সামাজিক অভিশাপে
ভুলেছে তোমার দাবী, অধিকার অনধিকার বিধি-
বুর্জোয়া নীতি ও নিয়ম এসে নিয়েছে তোমায়
আর আমি ব্যার্থ অশ্রুপাতে জীবিত এখন।
আমি তখনো ব্যার্থ ছিলাম, আমি এখনো ব্যার্থ আছি
হয়ত ভবিষ্যতেও আমি ব্যার্থ হব। অঢেল স্বার্থকতা-
দিয়ে না হত কবিতা, না যেত ভালবাসা এত সাবলীল হয়ে
এতটা দুরে থেকেও। বল আর কতটা দুরে রব?

বিত্তশুণ্যতা চিত্তকে তুলেছে আমার নগাধিরাজের চূড়ায়
কিন্তু এতে কি সন্তোষ হত? তুমি কি ভাসতে সুখে দুখের দোলায়?
কদর্য বাস্তববোধ মানতে পারিনা সহজ হয়ে, সুলভ্য-
উপদেশাবলী, দৃষ্টান্তের মহান ভান্ডার, অদৃষ্টের অলঙ্ঘ্য লীলা
আমিও বুঝি, আমি জানি তবুও মানতে পারিনা সহজ হয়ে।
এই না মানার দন্ড দিল তোমাদের সভ্য সমাজ-
উপেক্ষা, অপবাদ, নগরে নির্বাসন, বুকভরা অবসাদ
ভিখারির ছিন্ন সাজ আর নির্বাপন অযোগ্য চিতা
আমার গভীরে।

তুমি ভেবোনা আমি দুখে আছি,
তুমি ভেবো না আমি দুখে থাকব চিরকাল।
আমার সবুজ প্রেম ধূসর হবে, প্রেম হবে পোড়া পেট্রোলে
কুৎসিত কালো- ভেবো না এমন হবে।
যতদিন দু চোখে দু নদী আছে ততদিন প্রেম রবে
সুফলা সজীব আমার জোয়ার জলে।

২৫-৬-১৫

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...