বৃহস্পতিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৬

চতুর্বিংশতিবর্ষীয়া

চতুর্বিংশতিবর্ষীয়া, 
সহসা কটাক্ষবিলাসে হেনেছিল অনঙ্গের তূণ! 
জাগিয়াছিল ভাষা অবিকার প্রস্তরের মনে, 
প্রেমাভীপ্সা লভিয়াছিল কবিত্বের গুণ। 
একদিন দিনমণি বিদায়ের ক্ষণে 
বদ্ধকৃতাঞ্জলি হইয়া সে মাগিয়াছে বর 
'সংক্ষুব্ধ যৌবনা আমি, ক্ষুধিত অন্তর 
তৃপ্ত কর- অধর দংশনে!' 

অতঃপর, 
সচকিত কবির বক্ষে অলঙ্ঘ্য ঢেউ 
সহস্র কবিতা এল, বুঝিল না কেউ! (১)

চতুর্বিংশতিবর্ষীয়া, 
সমুদ্র গভীর চোখে উদ্বেলিত মায়ায় 
বাঁধিয়াছিলে দেহখানি দগ্ধ ভিখারীর। 
অঘ্রানের তাপক্লান্ত অঞ্চল ছায়ায় 
উত্থিত আদিম রিপু সঘন গম্ভীর, 
মথিয়াছিল সৃষ্টিকল্প অনন্ত ব্রহ্মার 
মহোল্লাসে। 

ক্বচিৎ সে কি দিগন্তের বিলোল বাতাসে 
সজ্ঞা লভিয়াছিল, কাঁদিয়াছে, "ঈশ্বর- 
এ কি বিষ দানিয়াছ, এ কি নাগপাশে 
অপ্রখর প্রণয়ডোরে এ কি বিষশর 
ক্রুর হাসি হাসে!" 

ভাঙিয়াছে ভ্রান্তির সে সুখ বাসর। 
কবি আর কবিতার প্রেম তারপর- 
দলিত অতীত!
(২)
_____________________

এ বছরের জানুয়ারীর ১৭, ১৮ তারিখে চতুর্বিংশতিবর্ষীয়া ১ ও ২ লেখা হয়।দুটোকে মিলিয়ে একটা করে দিলাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...