বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৬

ইচ্ছামৃত্যুর বর দে মা

ইচ্ছামৃত্যুর বর দে মা নির্বাণে আর কাজ নাই 
নিদয়া হয়েছিস কত সে কথা কারে বোঝাই! 

না শুকায় জনমের ক্ষত 
নতুন ক্ষত বুকে জড়াই 
অভাগা কাঙালের মত 
পরের অন্নে পেট ভরাই। 
রাজপ্রসাদে সুখ নেই, দুটো খুত কুড়ো খেতে চাই 
ইচ্ছামৃত্যুর বর দে মা নির্বাণে আর কাজ নাই! 

যতনে যা রাখি নিধি 
ডাকাতি করেছে বিধি 
করি পরের ধনে পোদ্দারি 
আর দুটাকার দুদিন বড়াই। 
ভবের বাঞ্ছা ঘুচিয়ে দে মা, এসবে কি হবে ছাই? 
ইচ্ছামৃত্যুরর বর দে মা নির্বাণে আর কাজ নাই। 

দেহ লয়ে কাঁদি হাসি 
কন্দর্প মারে গো বাণ 
দেহী সে বিরলে আছে 
না পাই খুঁজে তার সন্ধান। 
সুখের নেশা ভুলেছি গো, দিগ্বিদিক আঁধারে ধাই 
ইচ্ছামৃত্যুর বর দে মা নির্বাণে আর কাজ নাই! 

যে সুখে রেখেছিস তারা 
সে সুখ বোঝাব কায়? 
ধুলিতে খাই গড়াগড়ি 
মা হয়ে ভুলেছিস দায়! 
চোখের বানে বুক ভাসে মা তবু নিত্য তোরই গুণ গাই 
ইচ্ছামৃত্যুর বর দে মা নির্বাণে আর কাজ নাই। 
----- 

রামপ্রসাদ, কমলাকান্তে বিমোহিত ছিলেন রবীন্দ্র-নজরুল এবং তাদের রচনাশৈলী, ভাষা ভাব সেই আমল থেকে এই আমল পর্যন্ত আমাদের ভাবিয়ে তোলে। আর বাউলের কবিত্ব তো মিশে আছে বাঙালির শিরায় উপশিরায়। এই কবিতার মধ্যে আমি দুটো ধারার সংমিশ্রণ করে একটা স্বকীয়তা আনার চেষ্টা করেছি। বোদ্ধা ও বাংলা সাহিত্যের অভিজ্ঞ পাঠকের হাতে তুলে দিলাম বিচারের ভার।১৩৭১৫

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গ্রাস

  বুঝি আর আমাকে দিয়ে হবে না কিছুই। অসময়ে, অনাহুত, অতি অনভিপ্রেত জানি, সমস্ত বিবাদী উষ্মার অন্তরালে হারিয়ে যাব আমার এ যাবৎ যতনে গড়া সুরের ...