আকাশচারিণী তুমি মানবের ত্রাস ছিলে
পড়িয়াছ মোহের ছলে মানবের প্রেমে।
জানিনা সে দুর্দিনে বসন্ত ছিল কিনা
যেদিন অঙ্গ তব জ্বলিয়াছে কামে!
সাজাইলে কুচযুগ বিবিধ রতনে ঢাকি
কামনার চন্দন যতনে তনুতে মাখি
ঠুমকিয়া দাঁড়াইলে আসি পর্ণকুটিরে
অনল জ্বলিয়া ওঠে দরশিয়া রামে।
জানিনা সে দুর্দিনে বসন্ত ছিল কিনা
যেদিন অঙ্গ তব জ্বলিয়াছে কামে!
বুক কাঁপে দুরুদুরু, থরথর কাঁপে উরু
উতলা নিঃশ্বাস বহে ঝড়োবায়ু সম।
মন কহে ‘ত্বরা যাই, আপনারে সঁপি পায়
আলিঙ্গন দেহ নাথ, প্রাণ প্রিয়তম’।
সহসা আপনা রুখি মানবসৌষ্ঠব দেখি
দুরেতে দাঁড়ায়ে তুমি মুচকিয়া হাস
ভাবিয়াছ মনে মনে ‘আজি এ বিজন বনে
দেখিব হে কি করিয়া মোরে ভালবাস’!
অধরে মিলায়ে দিবে অধরের সুধা
অনন্ত বাসনা জাগে, জাগে আরো ক্ষুধা
ভাবিয়াছ এ মানবে-
বাঁধিয়া লবে নিজ কেশদামে।
জানিনা সে দুর্দিনে বসন্ত ছিল কিনা
যেদিন অঙ্গ তব জ্বলিয়াছে কামে!
মদন ছিঁড়িয়া খায় কামিনীর মন
যাতনা সংবেগ আর সহিতে না পারি
দ্রুতপদে গিয়া- কহিলে ‘হে সুন্দর
মম তুল্যা এ ভুবনে কেহ নাহিক সুন্দরী’।
রূপ দেখি রঘুবরে হানে ব্যাঙ্গবাণ
কহিল ‘হে রূপবতী তুমি উর্বশী সমান
এই দেখ স্ত্রী মম সীতা নাম্নী নারী
প্রাণাধিক প্রিয় মোর কি করিয়া ছাড়ি?’
শ্রীরাম দেখায়ে দিল আপন অনুজে
‘এতাদৃশ সুপুরূষ কোথা পাবে খুঁজে’?
অনঙ্গের দুষ্টজালে ভুলিয়া আপনা
সুমিত্রা নন্দনে যবে সাধিলে কামনা
প্রত্যাখান লভিয়াছিলে উপহাস বাণে।
জানিনা সে দুর্দিনে বসন্ত ছিল কিনা
যেদিন অঙ্গ তব জ্বলিয়াছে কামে!
অতঃপর যাহা হইল তাহা বর্ণিতে না পারি
আপনি বুঝায়ে দিলে তুমি মায়ারূপধারী।
স্বজাতির ভালে তুমি বিনাশের টীকা
সৌন্দর্যপিপাসিনী তুমি সূর্পনখা।
৩০-৬-১৫
পড়িয়াছ মোহের ছলে মানবের প্রেমে।
জানিনা সে দুর্দিনে বসন্ত ছিল কিনা
যেদিন অঙ্গ তব জ্বলিয়াছে কামে!
সাজাইলে কুচযুগ বিবিধ রতনে ঢাকি
কামনার চন্দন যতনে তনুতে মাখি
ঠুমকিয়া দাঁড়াইলে আসি পর্ণকুটিরে
অনল জ্বলিয়া ওঠে দরশিয়া রামে।
জানিনা সে দুর্দিনে বসন্ত ছিল কিনা
যেদিন অঙ্গ তব জ্বলিয়াছে কামে!
বুক কাঁপে দুরুদুরু, থরথর কাঁপে উরু
উতলা নিঃশ্বাস বহে ঝড়োবায়ু সম।
মন কহে ‘ত্বরা যাই, আপনারে সঁপি পায়
আলিঙ্গন দেহ নাথ, প্রাণ প্রিয়তম’।
সহসা আপনা রুখি মানবসৌষ্ঠব দেখি
দুরেতে দাঁড়ায়ে তুমি মুচকিয়া হাস
ভাবিয়াছ মনে মনে ‘আজি এ বিজন বনে
দেখিব হে কি করিয়া মোরে ভালবাস’!
অধরে মিলায়ে দিবে অধরের সুধা
অনন্ত বাসনা জাগে, জাগে আরো ক্ষুধা
ভাবিয়াছ এ মানবে-
বাঁধিয়া লবে নিজ কেশদামে।
জানিনা সে দুর্দিনে বসন্ত ছিল কিনা
যেদিন অঙ্গ তব জ্বলিয়াছে কামে!
মদন ছিঁড়িয়া খায় কামিনীর মন
যাতনা সংবেগ আর সহিতে না পারি
দ্রুতপদে গিয়া- কহিলে ‘হে সুন্দর
মম তুল্যা এ ভুবনে কেহ নাহিক সুন্দরী’।
রূপ দেখি রঘুবরে হানে ব্যাঙ্গবাণ
কহিল ‘হে রূপবতী তুমি উর্বশী সমান
এই দেখ স্ত্রী মম সীতা নাম্নী নারী
প্রাণাধিক প্রিয় মোর কি করিয়া ছাড়ি?’
শ্রীরাম দেখায়ে দিল আপন অনুজে
‘এতাদৃশ সুপুরূষ কোথা পাবে খুঁজে’?
অনঙ্গের দুষ্টজালে ভুলিয়া আপনা
সুমিত্রা নন্দনে যবে সাধিলে কামনা
প্রত্যাখান লভিয়াছিলে উপহাস বাণে।
জানিনা সে দুর্দিনে বসন্ত ছিল কিনা
যেদিন অঙ্গ তব জ্বলিয়াছে কামে!
অতঃপর যাহা হইল তাহা বর্ণিতে না পারি
আপনি বুঝায়ে দিলে তুমি মায়ারূপধারী।
স্বজাতির ভালে তুমি বিনাশের টীকা
সৌন্দর্যপিপাসিনী তুমি সূর্পনখা।
৩০-৬-১৫
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন