কুসুমিতা,
তোমাকে দেখেছিলাম নৈঋতের মেঘে,
ঋতম্ভরা ব্যোমচারিণী; আমার অতি তন্দ্রালুতায়
তোমার প্রেমপূরিত চোখ নক্ষত্রের মত জেগে-
সারারাত্রি আমার সাথে স্রোত কেটে যায়!
সেই সে প্রথম নয়নপাতে, প্রথম সংঘাত-
আমার শতচ্ছিন্ন হৃদয়ের সাথে আমারই আত্মার!
আমি আজও ওই অনাদৃত চিরন্তন ব্যাকুল ক্রন্দন
বেঁচে আছি, পাল তুলে বিকট ঝঞ্জার-
মাঝে আমার নৌকো দিয়ে তোমার কিনারে।
কুসুমিতা,
জীবনে কত আরাধ্য দেবতার বদ্ধ দুয়ারে
মাথা ঠুকে বারেবার, পাথরের বুকে কার স্পন্দন
শোনার অতৃপ্ত বাসনায় ভুলেছি ছায়ার পথ!
তোমাকে পেয়েছিলাম দাবাগ্নির ধীর লয়ে,
অথচ শাওনী অনাবৃতা, তুমি ছিলে মেঘের কোরকে
অনঘ সম্পদ- আমি তাই মূহুর্তে অধীর হয়ে
তোমাকে টেনেছি প্রিয়া দৈন্যতার বুকে-
আমি অন্য সব দেবতাকে ডুবিয়ে দিলাম,
অন্য সব প্রয়োজন অন্যতম সুখে
আমি বিকিয়ে দিলাম!
তবু- আজও আমি ভগ্নতার সকল বিলাপ বয়ে
এ-পাড় ও-পাড়, কপালের ভাঁজে গুজে স্বপ্ন তোমার
নিজেই নিজের মাঝে কত ক্ষয়ে ক্ষয়ে-
এই সব প্রগলভ কবিতা ছাপাই!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন