দূর থেকে....

শর্মিলীকে বলেছিলাম, চোখে চোখ রেখে
ওভাবে চেয়ো না তুমি, ভয় লাগে ভয়!
ভটচায বাড়ির মেয়ে, আমি কায়েতের ছেলে
যদি দোষ হয়! তবে কেচ্ছা হয়ে যাবে।

তাই চোখটা এড়িয়ে চল।
আমি জানি কিছুটা চোখের ত্রুটি আমারও যে আছে
তবুও তো জাত-পাত-কূল-বর্ণ সব আমি দেখি।
তোমার কাছে কি সব জাহান্নামে গেছে?
সমাজ সংস্কার ছাড়া প্রেমে পড়া ঝুঁকি-
আমি নিতে সক্ষম যে নই!

যদিও আমার বুকে উঠেছিল ঝড়
থেমেছে অনেক কষ্টে বহু নদী পর
আর কারো শাড়ীর আঁচলে।
তবু কেন মনে হয় কবে কোন পুকুরপাড়ে
কাকে গেছি ফেলে- ভরা কৈশোরে।

নস্টালজিয়া বল, অথবা সে অনারম্ভ প্রেম
নবাগত শ্মশ্রুর মত জেগেছিল মনে।
আজ একযুগ পরে এই পথে দুচোখের কোনে
কেন নড়েচড়ে ওঠে কারো চশমার ফ্রেম
তর্জনী তাড়নে?

অবচেতনায় কোন দুরাগ্রহ পিপাসা আসে 
যদিও আমার অস্তিত্ব আজ জল আর জল
তবুও শর্মিলী আজ গলাটা শুকায়
সুগার বেড়েছে কিছু, শরীরও দুর্বল।

তুমি ভাল আছ?