তোমাকে আলো দেব বলে আমি জ্বলে যাই।
এতে কোন কৃতিত্ব নেই,
এতে কোন মহত্ত্ব নেই।
যদি বলতে পারতাম এভাবে-
তোমায় আলো দিচ্ছি বলেই আমি আলোকিত আজ
তবে নিজেকে মানুষ ভাবতাম।
এখন মানুষ ভাবাতে কোন গৌরব নেই
মানুষ ভাবাতে কোন সৌন্দর্য নেই।
যদি এভাবে ভাবতে পারতাম-
তোমাকে আলো দিতেই আমি জন্মেছিলাম
ওসব জ্বলে যাওয়া-টাওয়া সব খুব বাজে কথা,
তবে আমি শান্তি পেতাম!
এখন আমি শান্তি পাই না।
এখন আমি স্বস্তি পাই না।

আমি কবে কি করে যেন মানুষ থেকে পুরুষ হয়ে গেলাম!
শরীরের শোণিতধারায় জাগে পৌরুষ প্রত্যয়
যে নারী অহল্যার মত সে নারী আমার নয়!
ক্রোধিত গৌতম তুমি নিজে তো পাথর হলেই পারতে
অন্তত প্রেমটুকু অনড় অচল হত!

আমি এত কিছু ভাবছি কেন?
যে ভালবাসা এত প্রশ্ন করে সে কিসের ভালবাসা?
সে কেমন প্রেমিক যার বুকে এতটা ঝঞ্জা হয়
তুচ্ছ কারণে?
অহল্যাও তো ভালবেসেছিল
এটা তো মিথ্যে নয়!

আমি এত কিছু ভাবছি কেন?
নীলকণ্ঠ মহাকাল হে শান্ত প্রমথেশ্বর
যদি পুত্র হই, তবে শক্তি দাও প্রভু
দু বিন্দু গরল আমি অতৃপ্ত অন্তর
মাঝে নির্দ্বিধায় ধরি!

তবুও যেন ভালবেসে যাই।
এমন করে ভালবাসতে পারায় কোন লালিত্য নেই।
জানি এতে কোন সুরের আবহ নেই, কবিত্ব নেই।
যদি এভাবে বলতাম-
তুমি যা কিছু দিয়েছ তার সবটুকু সুধা
প্রণয়ের প্রবল পিয়াস আর যৌবনের ক্ষুধা
সব তোমার অস্তিত্বে আমি ডুবিয়ে দিয়েছি।

তবে আমি প্রেমিক হতাম!
তবে আমি মানুষ হতাম!