কিছু কিছু স্বপ্ন, প্রার্থিত অনুভব আমি আর কখনো পাব না ফিরে।
আমি মেনেও নিয়েছি সব যেমন করেই আমি মেনেছি যে সব
বিষাক্ত কন্টক একে একে রক্তপিপাসু হয়ে বিঁধেছিল বুকে!
আমার স্মৃতির পাতা অকৃত্রিম দুখে আজ চির ভাস্বর।
একদিন গুচ্ছ কবিতার কথা বেঁধেছিল ঘর যে যুবক শরীরে
সেখানে আজ নিরুত্তেজ শোণিতপ্রবাহ ধীরে ধীরে বয়।
যা কিছু আমার ছিল, আজ যা কিছু আমার নয় সবকিছু মিলে
আমার লালিত আশাগুলো চোখের সামনে দেখি বিনষ্ট হয়
আর আমি কাঁদতেও যে পারি না।

কতটা অসহায়ত্ব এলে অশ্রু থমকে যায়, কন্ঠের স্বর হয় জলদগম্ভীর
অথচ বৃষ্টি নেই, প্রখরা খরা এসে শ্যামলিমা করে নেয় গ্রাস
তুমি কি জানো? আমি কতটা ছারখার তবু কতটা স্থির
অটল শিলার মত স্থবির হয়ে ভেতরে ভেতরে কাঁদি?

আমার অনেক ইচ্ছে ছিল। ছোট ছোট সাদা সাদা টগরের মত।
সব গেছে ঝরে একদিন কোন এক বিরান দুপুরে তার সব গেছে ঝরে।
তবুও যে কি সুখের অভিপ্রায়ে জানালাটা খোলা, প্রকৃতি বাতাসহীন
গুমোট আবহ নিয়ে সুরহারা হয়ে কবে গেছে মরে, পুকুরের জল দিত ঘাটে এসে দোলা
আজ সব কেমন যেন দূরে গেছে সরে। তবু কেন জানালাটা খোলা?

আমারও তো মন আছে যেমন পাখিরও থাকে। আমি তো মানুষ!
ডানাহীন যন্ত্রণা সয়ে সয়ে আছি নিকৃষ্ট জীবনের খাঁচার ভেতর,
আমি ধুকপুক করি। আমি গুমরে গুমরে মরি বিগতস্রোতা নদীর মত,
আমি তো মানুষ। আমি তো সত্যি সত্যি কোন নদীও তো নই!

আমার কেন যে এমন হয়?
আমি জানি এভাবেও বেঁচে থাকে কত বনফুল পথের দু'পাশে
পদধুলে সেজে নেয় গরিমার সাজ। তারাও তো বাঁচে।
আমার কেন সেটুকুও নেই? কেন নেই কেউ পাশে
দুটো স্বপ্ন সাজাবার একান্তে ভালবেসে যা হবে শুধুই আমার?

আমি আজ স্বপ্নচ্যুত জড়খন্ডের মত একা বসে আছি।